রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপির (BJP) অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও চরমে। বুধবার বিকেলে বারাসত সাংগঠনিক জেলার কোন্দল আছড়ে পড়েছিল বিজেপির সল্টলেকের (Salt Lake) অফিসে। রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ ও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বারাসাত সাংগঠনিক জেলার কর্মী-সমর্থকরা।আর বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে দলের প্রাক্তন সদর কার্যালয় মুরলীধর সেন লেনেও সেই আঁচ আছড়ে পড়ল। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য, সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মুরলীধর সেন লেনে জড়ো হয়ে শামিল হলেন বিক্ষোভে। এমনকী জেলা থেকেও কর্মীরা কলকাতায় এসে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিলেন। পোড়ানো হল অমিত মালব্য, অমিতাভ চক্রবর্তীদের কুশপুতুল।
নতুন জেলা সভাপতি নির্বাচনের পর জেলায় জেলায় কর্মী বিক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল। যে অভিযোগ বারংবার শাসকদলের তরফে উঠে এসেছে, তাতেই অভিযোগের আগুনে ঘৃতাহুতি বেশ কয়েকবার সল্টলেক বিজেপি দপ্তরে কর্মীবৃন্দ এবং বৃহস্পতিবার বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের তরফে রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তর মুরলিধর সেন লেনের অফিসের সামনের এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠল একাধিক জেলায় কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভে। শতাধিক মানুষ শামিল হন তাতে।
[আরও পড়ুন: ফের খাস কলকাতায় ‘খুন’ প্রৌঢ়া, ভর সন্ধেয় ঘরে মিলল ক্ষতবিক্ষত দেহ]
এদিন বীরভূম-সহ (Birbhum) একাধিক জেলার কর্মী, সমর্থকরা এসে রাজ্য বিজেপি দপ্তরের সামনে অমিতাভ চক্রবর্তী, সুকান্ত মজুমদার-সহ রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে উগরে দেন ক্ষোভ। চলে রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্লোগানিং, পোড়ানো হয় কুশপুত্তলিকা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে লাগাতার এই কর্মী বিক্ষোভের জেরে টলোমলো গেরুয়া শিবির। কর্মীদের দাবি, ”আমরা গণ বহিষ্কৃত হব। জনতার আদালতে ওদের বহিষ্কার করেছি। মোদিকে দেখে আমরা পার্টি করেছি। কেন্দ্রের আসা টাকা নিচ্ছে নেতারা।” বীরভূমের নেতাদের আরও ক্ষোভ, ”সতীশ ধন্দকে অভিযোগ করেছি। আর্থিক কেলেঙ্কারির নথিও দিয়েছি। নেতারা ঠান্ডা ঘরে বসে আছেন। টাকা নিয়ে পদ দিচ্ছেন। আর আমরা বীরভূমের পুরনো কার্যকর্তারা বসে আছি।”