রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ‘শহিদ তর্পণ শ্রদ্ধাজ্ঞলি’র মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা। বাগবাজারের ঘাটে অস্থায়ী মঞ্চ বেঁধে তর্পণের আয়োজন করা হয়। পুরোহিতের কথা মতো মন্ত্রপাঠের পর গঙ্গায় প্রতীকী অস্থিকলস ভাসান তাঁরা।
[আরও পড়ুন: মহালয়ায় চণ্ডীপাঠ-তর্পণ, পিতৃপুরুষের স্মৃতিতে বুঁদ বাঙালি]
চলতি বছরের মহালয়ায় লেগেছে রাজনীতির রং। বহুদিন আগে বিজেপির তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল নিহত দলীয় কর্মীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘শহিদ তর্পণ শ্রদ্ধাজ্ঞলি’ নামে কর্মসূচি গ্রহণের কথা। সেই মতো প্রস্তুতি চলছিল জোরকদমে। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজ্যে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা। কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও শহরে আসেন। তাঁদের উপস্থিতিতে শনিবার অস্থায়ী মঞ্চ বেঁধে বাগবাজার ঘাটে তর্পণ সারেন নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিজনেরা। অন্তত ৬৫টি পরিবারের সত্তরজন এই তর্পণে যোগ দেন। পুরোহিতের কথা মেনে মন্ত্র পড়েন জেপি নাড্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গী, দেবশ্রী চৌধুরি-সহ অগণিত বিজেপি নেতানেত্রী। এরপর প্রতীকী অস্থিকলস গঙ্গার ঘাটে বিসর্জন দেন জেপি নাড্ডা।
‘শহিদ তর্পণ শ্রদ্ধাজ্ঞলি’ কর্মসূচির মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সর্বভারতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, “পায়ের নিচের জমি সরে গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধির উদয় হয়েছে তাঁর। রাজ্যে জঙ্গলরাজ-গুন্ডারাজ চলছে।” পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন নাড্ডা। কড়া ভাষায় তিনি বলেন, “এ রাজ্যে আইন বলে কিছুই নেই। বিচারব্যবস্থা মানে না কেউ। পুলিশ রক্ষক নয়, ভক্ষক। আমাদের দলীয় কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। ৮০ জন বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। বিজেপি কর্মীরা বিপাকে পড়লে পুলিশকে ফোন করছেন। তবে ন্যায় পাচ্ছেন না তাঁরা।”
[আরও পড়ুন: পুজোর মুখে সব রেক নোয়াপাড়া পর্যন্ত নয়, রাজ্যের আবেদনে জানাল মেট্রো]
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার পাশাপাশি নিহত কর্মীদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। ‘শহিদ’ পরিবারের কচিকাঁচাদের মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদও করেন নাড্ডা। এদিনের ‘শহিদ তর্পণ শ্রদ্ধাজ্ঞলি’ কর্মসূচি নিয়ে যদিও ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। সমালোচনার সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা প্রায় প্রত্যেকেই।
The post ‘বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি’, শহিদ তর্পণের মঞ্চ থেকে মমতাকে তোপ নাড্ডার appeared first on Sangbad Pratidin.