গোবিন্দ রায়: হাই কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের। ধর্মতলায় ডাক্তারদের ধরনা নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। জানানো হয়েছে, ধর্মতলায় ধরনায় চলবে। তবে রাজ্যের আর্জি মেনে ২৫ তারিখ ধরনায় বিরতি দেওয়া যায় কি না, তা চিকিৎসকদের কাছে জানতে চাইল আদালত।
আর জি কর কাণ্ড নিয়ে কয়েকমাস ধরে তোলপাড় বাংলা। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পেতেই নতুন করে পথে নামার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। ২০ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরনার সিদ্ধান্ত নেন। তবে প্রথমে অনুমতি মেলেনি। হাই কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর শুরু হয় ধরনা। পরবর্তীতে এই অবস্থান বিক্ষোভ নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশের আর্জি জানানো হয়। অন্তত আগামী ২৪ এবং ২৫ ডিসেম্বর ডাক্তারদের কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। পরিবর্তে ২৭ ও ২৮ তারিখ অবস্থানের অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয় রাজ্যের তরফে। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, "এটা বড়দিনের সময়। যারা বড়দিন উদযাপন করতে আসবেন তাদের কি কোনও অধিকার নেই?"
এদিন আদালতে রাজ্য আরও বলে, কর্মসূচি শুরুর মুখে পুলিশকে নোটিস দিয়েই হাই কোর্টে চলে আসছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাচ্ছেন না। সিঙ্গল বেঞ্চ অনুমতি দিলে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করার সময়ও মিলছে না। রাজ্যের প্রশ্ন, সবসময় মেট্রো চ্যানেলে কেন? ঠিক তার পিছনেই ওয়াই চ্যানেল আছে, সেখানে কেন নয়? এই কর্মসূচির ফলে উৎসবের মরশুমে যানজট হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়। রাজ্যের যুক্তি, শুধু মামলাকারীদের মৌলিক অধিকার বিচার করলে হবে? রাজ্যকে তো অন্যদের মৌলিক অধিকারের কথাও ভেবে দেখতে হবে।