রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: ‘বাংলায় কোনও আইনশৃঙ্খলা নেই। একের পর এক বিজেপি নেতা-কর্মী খুন হচ্ছে রাজ্যে।’ এই অভিযোগ তুলে বুধবার কলকাতায় বিক্ষোভ মিছিল করল বিজেপির (BJP) যুবমোর্চার সদস্যরা। তাঁদের মিছিল ঘিরে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের রাস্তায় ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। ব্যাপক যানজট হয়। মিছিল থেকে শতাধিক বিজেপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সওয়াল করেছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাও।
এদিন মুরলীধর লেনের বিজেপির পার্টি অফিস থেকে মিছিল বেরিয়ে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই কলকাতা পুলিশ বিজেপির কার্যালয় ঘিরে ফেলে। সেখানে একচোট ধস্তাধস্তি হয়। এদিকে গান্ধীমূর্তি পৌঁছনোর আগেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন যুবমোর্চার সদস্যরা। চলে স্লোগানও। পড়ে বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছেন কল্যাণ চৌবে, রিমঝিম মিত্র, কাঞ্চনা মৈত্র-সহ শতাধিক বিজেপি কর্মী।
[আরও পড়ুন: অমিত শাহের সফরের আগে চমক মুখ্যমন্ত্রীর, মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদের জন্য বরাদ্দ ১০ কোটি টাকা]
গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, বাংলায় বিজেপির উত্থান রুখতে তাঁদের নেতা-কর্মীদের খুন করছে। গোটা রাজ্যে ইতিমধ্যে তাঁদের শতাধিক নেতা-কর্মী খুন হয়েছে। তাঁদের আরও দাবি, তৃণমূল জমানায় রাজ্যে মহিলাদের উপর অত্যাচারও বেড়েছে। সবমিলিয়ে রাজ্যে কোনও আইন-শৃঙ্খলা নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির যুবমোর্চার সদস্যরা। সেই সমস্ত অভিযোগ নিয়েই এদিন মিছিল বের করেছিল তাঁরা।
এদিকে অশান্তির আশঙ্কায় বিজেপির মুরলীধর সেন রোডের কার্যালয় ঘিরে রেখেছিল কলকাতা পুলিশ। তাঁদের এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির যুবমোর্চার আমন্ত্রিত সদস্য শঙ্কুদেব পণ্ডা। তাঁর কথায়, “পুলিশ দলীয় কার্যালয় ঘিরে রেখেছে, এমনটা দেখা যায় না। এ রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। তাই দ্রুত এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক।”
দেখুন ভিডিও:
[আরও পড়ুন : ১৮ ঘন্টার মধ্যে পর্ণশ্রীর একই গলিতে আত্মঘাতী চার, ভূত চতুর্দশীর আগে আতঙ্কে কাঁটা পড়শিরা]