সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চণ্ডীগড়ে মেয়র নির্বাচনকে ঘিরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আপ-বিজেপির মধ্যে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১ ভোটে গেরুয়া শিবির হারিয়ে দিল আম আদমি পার্টিকে। চণ্ডীগড়ের নতুন মেয়র হলেন অনুপ গুপ্তা। তিনি হারালেন বিজেপির জসবীর সিংকে।
অনুপ গুপ্তা পেয়েছেন ১৫টি ভোট। অন্যদিকে জসবীর পেয়েছেনব ১৪টি ভোট। আসলে কংগ্রেসের ৬ জন সদস্য ও শিরোমণি অকালি দলের একমাত্র সদস্য ভোট থেকে বিরত থাকার পরই পরিষ্কার হয়ে যায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। বিজেপি ও আপ, দুই দলেরই ১৪ জন করে সদস্য ছিল। কিন্তু পার্থক্যটা গড়ে দেন সাংসদ কিরণ খের। তিনি পদাধিকার বলে সদস্য হিসেবে বিবেচিত হন। শেষ পর্যন্ত তাঁর ভোটটিই ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে ওঠে। ১ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয় বিজেপি। উল্লেখ্য, পরে সিনিয়র ডেপুটি মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের পদের জন্য ভোট নেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ইন্ডিগোর বিমানের দরজা খুলে যাত্রীদের মৃত্যুমুখে ফেলেন বিজেপি সাংসদ? তদন্তের নির্দেশ DGCA-এর]
এদিকে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা সম্পর্কে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কটাক্ষকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ঘনিয়েছে বিজেপি ও আপের মধ্যে। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তাঁর খোঁচা, ”আমার শিক্ষকরাও আমার হোমওয়ার্ক সেভাবে চেক করতেন না, যেভাবে খুঁটিয়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নর আমার ফাইলগুলি চেক করেন। উনি আমার প্রধান শিক্ষক নন। মানুষ আমাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন।”
তাঁর এই মন্তব্যেরই তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পালটা খোঁচা, অরবিন্দ একজন অত্যন্ত ইগোসম্পন্ন নেতা, যিনি বিশ্বাস করেন, ভোটে জিতেছেন বলে সাংবিধানিক ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অধিকার রয়েছে তাঁর।
[আরও পড়ুন: ‘মাথা কেটে দিলেও RSS-এর দপ্তরে যাব না’, মন্তব্য রাহুলের]
আসলে দিল্লি পুরনিগম ১৫ বছর বিজেপির দখলে ছিল। কিন্তু এবারের নির্বাচনে আপ জিতে গিয়েছে। এরপর থেকেই কেজরিওয়ালের দলের অভিযোগ, ক্ষমতায় না থেকেও দিল্লি মেয়র নির্বাচনে বিজেপিকে জিতিয়ে দিতে পক্ষপাতিত্ব করার চেষ্টা করছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে কার্যতই রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল এমসিডি সিভিক সেন্টার। সেই বিবাদেরই অংশ হিসেবে কেজরিওয়াল ও বিজেপির বর্তমান বাগযুদ্ধ।