বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: অমিত শাহ (Amit Shah) ও জে পি নাড্ডাদের (JP Nadda) ‘পাখির চোখ’ পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন। টার্গেট বাংলা। কিন্তু বঙ্গের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা নেতৃত্বের ওপর পুরো ভরসা নেই। তাই সংগঠনের বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি সাংসদদের কাছ থেকেও রিপোর্ট চাইল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সংসদের অধিবেশন শেষে এলাকা ঘুরে লোকসভা ভিত্তিক রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাংসদদের। রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় দপ্তরে রিপোর্ট পাঠাতে হবে বলেও সূত্রের খবর।
কারণে-অকারণে দিল্লিতে সময় কাটানোর প্রয়োজন নেই। নিজেদের এলাকায় আরও সময় দিতে হবে। সেখানে কত সময় দিচ্ছেন সাংসদরা, এলাকায় কী ধরনের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন, জনসংযোগ বাড়াতে কী করেছেন– সেই তালিকা পাঠাতে হবে রাজ্য দপ্তরে। সেই সঙ্গে দিল্লির উপর কমাতে হবে ভরসা। সংসদে এলাকার সমস্যা তুলে ধরতে হবে। যাতে সংসদীয় এলাকার মানুষ তা জানতে পারেন। ই-মেইল মারফত সাংসদদের এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এখন থেকেই জনসংযোগে নেমে পড়তে বাংলার সাংসদদের নিদান দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: পরপর দু’দিনে বাংলায় করোনার বলি সাতজন, শুধু কলকাতাতেই একদিনে আক্রান্ত ২২৪ জন]
দাবিদাওয়া আদায়ের অজুহাত দেখিয়ে অনেক সাংসদই অকারণে দিল্লিতে বসে থাকেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দরবার করেন। এলাকায় সময় দেন না। তাই সাংসদদের জনসংযোগে খামতি থেকে যাচ্ছে। ফলে বাংলার বেশ কয়েকজন সাংসদের ওপর ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবিরের শীর্ষনেতৃত্ব। উত্তরবঙ্গের দুই সাংসদকে সতর্কও করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। দিল্লির নির্দেশ, এলাকায় বুথভিত্তিক সংগঠন গড়ে তুলতেও ব্যাপক কর্মসূচি নিতে হবে। লোকসভা নির্বাচনের সময় কমে আসছে। তাই আরও বেশি করে সংসদীয় এলাকায় সময় দিতে হবে। এলাকার বিধায়কদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে। জেলা ও ব্লকস্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষরা।
প্রয়োজনে বসে যাওয়া কর্মীদের বাড়ি গিয়ে কথা বলতে হবে। কেন কর্মীরা বসে গিয়েছেন তা জানার চেষ্টা করতে হবে। ফের নিচুতলার নিষ্ক্রিয় নেতা কর্মীদের দলের কাজে নামাতে হবে। কত কর্মী নিষ্ক্রিয় রয়েছেন, কতজনকে ফের সক্রিয় করা গিয়েছে, রিপোর্টে আলাদা করে তারও উল্লেখ করতে বলা হয়েছে বলে জানান বাংলার এক গেরুয়া সাংসদ। রাজ্য কমিটি ও সাংসদদের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরই পরবর্তী ‘রুট ম্যাপ’ তৈরি করা হবে বলে সূত্রের খবর।