সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik)কোচবিহারের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। আর সেই কর্মসূচিকে সামনে রেখে বিজেপিই অশান্তির ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ করেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral) হওয়া একটি অডিও থেকে সেই ‘ষড়যন্ত্র’ ফাঁস হল। তৃণমূলের (TMC) দাবি, তাদের কর্মসূচিতে অশান্তি তৈরির জন্যই এসব ষড়যন্ত্র করেছিল বিজেপি কর্মীরা। এই অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা বিষয়টি জানতে মরিয়া পুলিশ।
কোচবিহারে (Cooch Behar) বিএসএফের গুলিতে রাজবংশী যুবকের মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক হাওয়া উত্তপ্ত। গত সপ্তাহে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) কোচবিহারে সভা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কারণ হিসেবে তাঁর যুক্তি, বিএসএফ (BSF) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ। আর সেই মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী খোদ কোচবিহারের সাংসদ (BJP MP) নিশীথ প্রামাণিক। তাই যুবকের মৃত্যুতে তিনি কেন উদাসীন? এই প্রশ্ন তুলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে কর্মসূচি বেঁধে দিয়েছিলেন অভিষেক। রবিবারই নিশীথ প্রামাণিকের ভেটাগুড়ির বাড়ি ঘেরাও করার দিন স্থির ছিল। যদিও কোনওরকম অশান্তি রুখতে পুলিশ আগে থেকেই তাঁর বাসভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি করে। বাড়তি পুলিশও মোতায়েন করা হয়।
[আরও পড়ুন: অভিষেকের বাড়ি ঘেরাওয়ের পালটা হুমকি বিজেপির, জবাব দিল তৃণমূলও]
আর এদিনই প্রকাশ্যে আসে একটি অডিও ক্লিপ (Audio Clip)। যাতে শোনা যায়, দুই বিজেপি (BJP) কর্মীর মধ্যে কথোপকথনে অশান্তি তৈরির ইঙ্গিত। একজন বলছেন, বন্দুক মজুত করার কথা তো অন্যজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, একটা গুলিতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলতে হবে। দু’জনে মিলে অশান্তির পরিকল্পনা করছিলেন বলে অডিও ক্লিপ থেকে বোঝা যাচ্ছে। পুলিশ বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে ধরা পড়লে কীভাবে অশান্তির দায় তৃণমূলের উপর চাপানো হবে, সেই পরিকল্পনাও হয়।
[আরও পড়ুন: দিল্লি টেস্টে ব্যর্থতার পরেই দল থেকে বাদ পড়তে পারেন রাহুল, নেটদুনিয়ায় মিমের বন্যা]
এই পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে তাঁর পরিচয় প্রকাশ্যে আনতে চায়নি। আদালতে তুলে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ। এনিয়ে তৃণমূলের তরফে মন্ত্রী উদয়ন গুহর প্রতিক্রিয়া, ”মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য, তৃণমূলের বদনাম করার জন্য এসব চক্রান্ত করেছে বিজেপি। এসব নোংরা রাজনীতি মানুষ গ্রহণ করবে না।”