সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির (BJP) ভোট প্রচারকে কেন্দ্র করে সোমবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ভবানীপুর। আক্রান্ত হন দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং-সহ একাধিক বিজেপি নেতা। ঘটনার জেরে কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির আরজি জানাল বিজেপি। প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) দাবি, উপনির্বাচন স্থগিত রাখা উচিত।
৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন (Bhabanipur By-Election)। সোমবার ছিল শেষ প্রচার। এদিন ৮টি ওয়ার্ডে ৮০ জন বিজেপি নেতার প্রচার করার কথা ছিল। সেই মতো সকালে ভোটপ্রচারে যান বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। স্থানীয়দের ‘বহিরাগত, গো ব্যাক’ স্লোগান শুনে এলাকা ছাড়েন তিনি। এরপর পটুয়াপাড়ায় প্রচারে বেরোন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। কিছুক্ষণ পর বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও প্রচারে যান। তাঁকেও বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
[আরও পড়ুন: কয়লা কাণ্ডে প্রথম গ্রেপ্তারি সিবিআইয়ের, ধৃত লালা ঘনিষ্ঠ ৪ ব্যবসায়ী]
লাগাতার বাধার জেরে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যদুবাবুর বাজার সংলগ্ন এলাকা। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয়দের বচসা শুরু হয়। দিলীপ ঘোষকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলেও অভিযোগ। তাতেই বাধা দেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। মাথা ফাটে এক বিজেপি কর্মীর। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীরা। বন্দুক উঁচিয়ে শাসানি দেয় তারা। সব মিলিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এই ঘটনায় নিয়ে অভিযোগ জানাতে সোমবার দুপুরে কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপির প্রতিনিধি দল। ছিলেন শিশির বাজোরিয়া ও স্বপন দাশগুপ্ত। তাঁরা জানিয়েছেন, ভবানীপুরে জয় নিয়ে বিজেপি নিশ্চিত। তবে তার জন্য সুস্থভাবে নির্বাচন করা জরুরি। সেই কারণেই ১৪৪ ধারা জারি করে ভোট করানোর কথা বলেছেন তাঁরা। তবে দিলীপ ঘোষ আপাতত ভোট না করানোর পক্ষেই সুর তুলেছেন। তাঁর দাবি, ভবানীপুরে যা পরিস্থিতি, এভাবে নির্বাচন হতে পারে না। সেই কারণে আপাতত উপনির্বাচন স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ভোটের দিন ভবানীপুরে সিআরপিএফ মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন খোদ বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। তাঁর এই দাবিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, “ওরা ভবানীপুরকে শীতলকুচি বানাতে চাইছে।”