রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: জিততে হলে তৃণমূল থেকে লোক এনে দল বড় করতে হবে৷ মন বড় করতে হবে৷ নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে দলের সমস্ত স্তরের নেতৃত্বকে এমনই বার্তা দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ স্পষ্ট করে জানালেন, দলে কোনও ভেদাভেদ রাখা চলবে না৷ লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে সকলকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে৷ অন্য দল ভাঙাতে হবে এবং রাজ্যে সংগঠনকে বাড়াতে হবে৷
[হাওড়া স্টেশন নোংরা করলেই দিতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা]
সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন একদা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন এসপি ভারতী ঘোষ৷ এবং প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা৷ রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, এই প্রাক্তন আইপিএস ও তৃণমূল নেতার যোগদানকে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের অনেক নেতা-কর্মী৷ প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও, শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ভিতরে ভিতরে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা৷ রাজনৈতিক মহলের ধারণা, রাজ্যের নেতা-কর্মীদের সেই ক্ষোভকে প্রশমিত করতেই, শুক্রবার মন বড় করার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস৷ এবং রাজ্যে বিরোধকারীদের বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে দলকে বড় করতে গেলে তৃণমূলকে ভাঙাতেই হবে৷ পাশাপাশি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বক্তব্যে আরও একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে৷ তা হল, তৃণমূলের নীতিতেই তৃণমূলকে ঘায়েল করতে চাইছে বিজেপি৷ অর্থাৎ এক সময় অন্যদল থেকে নেতা ভাঙিয়ে নিয়ে এসে যেভাবে ধারে-ভারে বড় হয়েছে শাসকদল৷ এবার শাসকদলকে ভেঙে সেভাবেই এরাজ্যে বিস্তার লাভ করতে চাইছে গেরুয়া শিবির৷
[এয়ারস্ট্রাইকের প্রমাণ চাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন কৈলাস]
বিজেপিতে যোগদান করার পর সম্প্রতি রাজ্যে এসেছেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষ৷ ঝাড়গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সেও যোগদান করেন তিনি৷ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার থেকেই ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন এসপি-র নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র৷ এবার ওয়াই+ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পাচ্ছেন তিনি৷ এছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পাচ্ছেন শঙ্কুদেব পণ্ডা, সাংসদ জর্জ বেকার, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-সহ ১৪ জন৷
The post ‘তৃণমূল ভেঙেই দল বাড়াতে হবে’, বঙ্গ বিজেপিকে বার্তা কৈলাসের appeared first on Sangbad Pratidin.