সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়লা কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। কয়লা পাচার দুর্নীতির সঙ্গে এক প্রভাবশালী রাজনীতিকের যোগ রয়েছে বলেই দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। তবে কারও নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, কয়লা পাচার কাণ্ড আদতে একটি চক্র। দুর্নীতির মোট অঙ্ক ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। গুরুপদ মাঝির নাম চার্জশিটে উল্লেখ আছে। তার মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা রাজ্যের প্রভাবশালী এক রাজনীতিকের কাছে গিয়েছে। ওই ব্যক্তির কোনও নাম উল্লেখ করেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তবে তাঁর দাবি, ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি রাজ্য প্রশাসনের অন্যতম নিয়ন্ত্রক। সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন এই পাচার মামলার সঙ্গে কার যোগসাজশের কথা উল্লেখ করতে চাইলেন শুভেন্দু, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে জোর আলোচনা।
[আরও পড়ুন: এসএসকেএমে অগ্নিকাণ্ডে ‘অন্তর্ঘাতে’র ইঙ্গিত স্বাস্থ্যসচিবের! মিলল ক্ষয়ক্ষতির হিসেবও]
বাংলা ভাগের ইস্যুকে হাতিয়ার করে আরও একবার রাজ্য সরকারকে দুষেছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গের রাঢ়বঙ্গ, উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন গ্রামীণ এলাকা বঞ্চিত। রাঢ়বঙ্গের বিধায়ক যারা বলেছেন, তাঁরা বঞ্চনা থেকে বলেছেন। কালীঘাটের নালার পাশে যে একটা পরিবার রাজ্যকে শোষণ করছে তার থেকে মুক্ত করতে হবে। রাজ্যভাগ কোনও সমস্যার সমাধান নয়। রাজ্য সভাপতির যা অবস্থান আমারও তাই। ভবানীপুর কোম্পানির হাত থেকে রাজ্যকে বাঁচাতে হবে।” বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আলোচনা করতে না দিলে বিরোধী দল হিসেবে নিয়ম মেনে প্রতিবাদের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
এদিন শুভেন্দুর আক্রমণের নিশানায় ছিলেন জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথার আগে ব্যাখ্যা দিন। আগে তৃণমূলের কর্মচারীরা ব্যাখা দিন। ডিয়ার লটারি থেকে অনুব্রত পরিবার কোটি কোটি টাকার লটারি জিতছেন। অনুব্রত, মানিকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? যারা লুঠেরাদের সমর্থন করেন তারা থেকে আমরা শিখব না।”