নব্যেন্দু হাজরা: কোন ব্যাঙ্কে কত অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তার মধ্যে কতগুলোয় দীর্ঘদিন টাকা-প্রদান হয়নি, কতগুলো অ্যাকাউন্ট থেকে বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে–এইসমস্ত যাবতীয় তথ্য রাজ্যের সমস্ত সমবায় ব্যাঙ্কগুলোর থেকে চেয়ে পাঠানো হল। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। এবিষয়ে একটি বৈঠক করেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, সমস্ত সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর ‘কালো টাকা’ উদ্ধারে কোমর বেঁধে নেমেছে নবান্ন। গত বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে অনেক ভুয়ো অ্যাকাউন্টে হিসেব বহির্ভূত টাকা রয়েছে। তদন্ত করে সেই টাকা উদ্ধারের নির্দেশ দেন তিনি। সেই মতো রাজ্যের ছোট-বড় প্রতিটি সমবায় ব্যাঙ্কে গত ২২ মাসে একলপ্তে বড়সড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের যাবতীয় তথ্য চেয়ে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেক ব্যাঙ্কেই সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন কতগুলো হয়েছে, সেই তথ্যও চাওয়া হয়েছে।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেন, "সমস্ত ব্যাঙ্ককে বলা হয়েছে, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়ার জন্য। আমরা দেখব, সেখানে কতগুলো অ্যাকাউন্টে গত কয়েকমাসে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে, কোন অ্যাকাউন্টে দীর্ঘদিন কোনও লেনদেন হয়নি ইত্যাদি বিষয়গুলো।" তাঁর কথায়, রাজ্যের নিজস্ব যে প্রকল্পগুলো রয়েছে, সেগুলোতে সমবায় ব্যাঙ্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বর্তমানে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক। সমবায় ব্যাঙ্কগুলির গ্রাহকদের মধ্যে কত জনের কেওয়াইসি নেই, তাও জানাতে হবে এই ১৫ জানুয়ারির মধ্যে। যাঁদের কেওয়াইসি নেই, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের আধার যাচাই সহ কেওয়াইসি সংক্রান্ত কাজ শেষ করে ফেলতে হবে বলে জানানো হয়েছে।