টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: কোভিডের মাঝেই রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের (Black fungus) হানায় চিন্তা দ্বিগুণ হয়েছে স্বাস্থ্য কর্তাদের। জেলাগুলিতেও এবার কালো ছত্রাকের থাবা। বাঁকুড়ায় (Bankura) ইতিমধ্যে ২ জনের শরীরে বাসা বেঁধেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। পাশাপাশি প্রতিবেশী জেলা পুরুলিয়া থেকে একজন এই সংক্রমণ নিয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভরতি রয়েছেন৷ এই মুহূর্তে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের HDU ওয়ার্ডে এই তিনজনের চিকিৎসা চলছে। তার মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই কলকাতায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। ফলে উদ্বেগ বাড়ছেই।
কালো ছত্রাকে আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন ৬৭ বছরের এক মহিলা। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাকি দুই রোগী পুরুষ। এঁদের মধ্যে একজনের বয়স ৩৭, আরেকজনের বয়স ৪৫ বছর। জানা গিয়েছে, এঁরা সকলেই কোভিড (COVID-19) আক্রান্ত হন। একজনের বাড়িতেই চিকিৎসা চলেছিল। আর বাকি দু’জন ভরতি ছিলেন নার্সিংহোমে। কোভিড পজিটিভ থাকাকালীনই এঁরা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে দাবি করা হয়েছে৷
[আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনাজয়ীর সংখ্যা ছাড়াল ১১ লক্ষ, সামান্য কমল দৈনিক সংক্রমণও]
কী দেখে বোঝা গেল যে করোনার পাশাপাশি এই তিনজনের শরীরে কালো ছত্রাকও হানা দিয়েছে? সূত্রের খবর, এঁদের প্রথমে মাথাব্যাথা, চোখ লাল, চোখে যন্ত্রণা, শ্বাসকষ্ট – এসব উপসর্গ ছিল। এসব থাকার কারণেই তাঁদের চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভরতি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও পরীক্ষা করে জানান, এঁরা সকলেই মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত। রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে প্রকাশিত নতুন গাইডলাইন মেনে আক্রান্তদের ওষুধপত্র দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তবে এঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিরা অবশ্য স্থিতিশীল। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছে তাঁদের। সেই সুযোগেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রমণ করেছে এই তিনজনকে। তবে এ ধরনের ঘটনার তালিকা দীর্ঘায়িত হতে থাকলে তা বড়সড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।