সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনিয়ন্ত্রিত সুগার যে কোনও রোগযন্ত্রণাই বাড়িয়ে তোলে, দ্রুত সংক্রমণ ঘটায়। তাই একেবারে নতুন রোগ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black fungus) বা কালো ছত্রাক সংক্রান্ত সতর্কতায় বারবার তাই সুগার নিয়ন্ত্রণের দিকে জোর দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বাস্তবে দেখা গেল, তাঁদের আশঙ্কাই সত্যি। রাজ্যে এই মুহূর্তে যে ১২ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত, তাঁরা সকলেই ডায়বেটিসের (Diabetes) রোগী। তাই এত দ্রুত সংক্রমিত হয়েছেন তাঁরা। বঙ্গে থাবা বসাতে নতুন রোগ সম্পর্কে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে উঠে এল এই তথ্যই। চিন্তা বাড়ল আরও।
সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে বাংলায় কালো ছত্রাক সংক্রমণের শিকার মোট ১২ জন। এঁদের মধ্যে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের মোট ৫ বাসিন্দাও রয়েছেন। এঁদের সকলেরই করোনা (Coronavirus) হয়েছিল। করোনামুক্তির পর আবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস থাবা বসিয়েছে শরীরে। আর সকলের মধ্যে আরও একটি মিল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি। এই ১২ জনই ডায়বেটিসের রোগী, সুগার লেভেল হাই তাঁদের। ইতিমধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কবলে পড়ে কলকাতায় এক মহিলার মৃত্যুও হয়েছে। ফলে এই সংক্রমণ যাতে প্রাণঘাতী না হতে পারে, তার জন্য আগেভাগেই সতর্ক স্বাস্থ্যদপ্তর। রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এ ধরনের রোগীদের চিকিৎসা হবে হাসপাতালেই।
[আরও পড়ুন: আরও কাছে ‘যশ’, দিঘার সমুদ্রে শুরু জলোচ্ছ্বাস, সঙ্গে প্রবল হাওয়া]
এছাড়া রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে যে কেউ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হলে, তা স্বাস্থ্যভবনে জানানো আবশ্যিক। সেক্ষেত্রে চিকিৎসার ব্যবস্থা দ্রুত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। কালো ছত্রাক সংক্রমণে আক্রান্তের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হলে এসএসকেএম হাসপাতালকে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। তাছাড়া উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের উপরও বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ, এই তিন হাসপাতালেই প্রথম দিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তরা ভরতি হয়েছিলেন। তাঁদের চিকিৎসা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এখানকার চিকিৎসকদের।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ, উঃ ২৪ পরগনায় একদিনে মৃত ৪৭]
করোনার মধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্য ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে ‘মহামারী’ ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রের তরফেও রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, এই সংক্রমণকে মহামারী হিসেবে গণ্য করে গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গও এ বিষয়ে যথেষ্ট সক্রিয়, সতর্ক।