সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির যন্তর-মন্তরে কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি হবে না। সোমবার এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এও জানিয়েছে, এর জন্য সরকারকে অনুমতি ও নির্দেশাবলী বেঁধে দিতে হবে।
বিচারপতি এ কে সিকরি ও অশোক ভূষণের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। তাঁরা জানিয়েছেন, অধিকারের জন্য লড়াই ও সাধারণ নাগরিকদের শান্তিতে থাকার মধ্যে সমতা বজায় রাখতে হবে। “যন্তর-মন্তর বা বোট ক্লাব (ইন্ডিয়া গেটের কাছে)-এর মতো জায়গায় প্রতিবাদের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায় না।”, বলেছেন দুই বিচারপতি।
[ ধর্ষণের পর ফেসবুকে নির্যাতিতাকে হেনস্তা, গ্রেপ্তার বিজেপি কাউন্সিলর ]
মজদুর কিষাণ শক্তি সংঘের করা আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের জারি করা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের কাছে এই আবেদন জানায় তারা। গত বছর ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুলান এই এলাকায় সমস্ত রকম প্রতিবাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বলা হয়, যন্তর-মন্তর ও বোট ক্লাবে প্রতিবাদ হওয়ার ফলে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। গ্রিন প্যানেল বলে, শব্দদূষণ থেকে রাজ্যকে রক্ষা করা রাজ্য সরকারের কর্তব্য। বিচারপতি আর এস রাঠোর এনিয়ে নিউ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল (NDMC) এ নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করে। তিনি বলেন, যন্তর-মন্তর এলাকায় প্রতিবাদের সমস্ত সরঞ্জাম, লাউডস্পিকার বন্ধ করে দিতে হবে। ধরনার জন্য একটি বিকল্প জায়গার কথাও বলা হয়। জানানো হয়, আজমেরি গেটের রামলীলা ময়দানে করা যেতে পারে ধরনা। তবে কোনও একটি সময় মাত্র একটি দলই রামলীলা ময়দানে তাদের প্রতিবাদ জানাতে পারবে বলেও বিধি আরোপ করা হয়।
[ গণপিটুনিতে আহতকে ফেলে পুলিশের চা পান, মোদির ‘নতুন ভারত’কে কটাক্ষ রাহুলের ]
দিল্লিতে প্রতিবাদের ক্ষেত্রে একটি জনপ্রিয় জায়গা হল যন্তর-মন্তর। এখানে আন্না হাজারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এছাড়া বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরও এখানে প্রতিবাদ চলে। তামিলনাড়ুর কৃষকরাও তাদের ধরনার জন্য যন্তর-মন্তরকেও বেছেছিল।
The post যন্তর-মন্তরে প্রতিবাদ-ধরনায় সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা নয়, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের appeared first on Sangbad Pratidin.