সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাম্রাজ্য ও সুখ দুই-ই হাতছাড়া। কোথায় সেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর, কোথায় বিলাসী বিছানা! কোথায় মহিলা শিষ্যাদের খাতির যত্ন! বিলাসের ফোয়ারা এতদিনে শুকিয়েছে। এখন শুকনো খটখটে জেলের মেঝেয় কোনরকমে রাত কাটছে রকস্টার বাবা গুরমিত রাম রহিমের। এখন তার পরিচয় স্রেফ, কয়েদি নম্বর ১৯৯৭।
[ রাম রহিমের গুন্ডাদের তাণ্ডব রুখে দেশবাসীর কুর্নিশ কুড়োচ্ছেন ইনি ]
ডেরা সাচার কার্যালয় ছিল রীতিমতো একটি শহর। হাসপাতাল-সিনেমাহল থেকে বাজার, কী ছিল না সেখানে! এর মধ্যেই ছিল গুরমিতের ‘গুফা’। বিলাসের চূড়ান্ত ব্যবস্থা ছিল সেখানে। পরনে রেশমি পোশাক। পছন্দের গাড়ি চড়ে আশ্রমে ঘুরে বেড়ানোই ছিল বাবার অভ্যাস। শিষ্যাদের খাতির যত্ন ছিল প্রতি মুহূর্তের ব্যাপার। কিন্তু সে সবই গিয়েছে। দুটি পৃথক ধর্ষণের মামলায় কুড়ি বছরের সাজা হয়েছে ভণ্ড বাবার। এখন তাই সাধারণ কয়েদিদের থেকে তার বিন্দুমাত্র ফারাক নেই। বিচারে ছাড় পেতে অনেক নাটক করেছিল বাবা। কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। শরীর খারাপের অজুহাত দিয়েছিল। কিন্তু অজুহাত ধোপে টেকেনি। দত্তক কন্যা তথা নিজের ছায়াসঙ্গী হানিপ্রীতকে পাশে চেয়েছিল। খুব স্বাভাবিকভাবেই সে প্রস্তাব নাকচ করা হয়েছে। বাবাকে দেওয়া হয়েছে জেলের কম্বল আর দুটো বিছানার চাদর। তাতে শুয়ে মোটেও ঘুম আসেনি বাবার। সারা রাত প্রায় জেগেই ছিল। মঙ্গলবার ভোররাতের দিকে ঘুমিয়ে পড়ে ধর্ষক বাবা।
[ ভণ্ড বাবার চক্রান্ত ফাঁস, হিংসা ছড়াতে নগদ ৩৮ লক্ষ টাকা ইনাম ]
পোশাক বলতে সেই বিলাসী পোশাকে ইতি। জেলের কয়েদিদের জন্য বরাদ্দ পোশাকেরই দু’সেট দেওয়া হয়েছে। খাবার জন্য একটা থালা। পানীয়ের জন্য একটি মগ দেওয়া হয়েছে। ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধে বন্দিকে কয়েদিকে এর থেকে বেশি কিছু দিতে নারাজ জেল কর্তৃপক্ষ। আইন মোতাবেক যা হওয়া উচিত, তাইই হচ্ছে। যেহেতু সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাই এরপর বাবাকে কাজও করতে হবে। তার স্বাস্থ্য ও দক্ষতা অনুযায়ীই কাজ বরাদ্দ করা হবে ধর্ষক বাবার জন্য।
[ রাম রহিম গারদে, কী হবে ‘ধর্মগুরু’ রামপালের? ]
The post নারীসঙ্গ আর ভোগে মত্ত রাম রহিমের কেমন কাটছে জেলে? appeared first on Sangbad Pratidin.