সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের ভোটের ফল নিয়ে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। এবার পালটা এল কমিশনের তরফে। কংগ্রেসের মূল অভিযোগ ছিল, কমিশনের প্রকাশ করা প্রাথমিক ভোটের হার, এবং চূড়ান্ত ভোটের হারের মধ্যে বিস্তর ফারাক থেকে যাচ্ছে। কোথাও গরমিল হচ্ছে। কিন্তু কমিশন সাফ জানিয়ে দিল, এতে বেনিয়ম বা গরমিলের কোনও ব্যাপার নেই। চূড়ান্ত ভোটের হার এবং প্রাথমিক ভোটের হারের মধ্যে ফারাক থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
মঙ্গলবার কমিশন কংগ্রেসকে পালটা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিল, বিকাল পাঁচটার সময় যে ভোটের হার দেওয়া হয়, এবং ভোটের চূড়ান্ত হারের মধ্যে পার্থক্য থাকা খুব স্বাভাবিক। কারণ, ওই সময় বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোটের হার এসে পৌঁছায়। সেটা যোগ করার কাজ চলে। কমিশনের সাফ কথা, ভোটের হারে গরমিল হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। কারণ, ভোটের চূড়ান্ত হারের হিসাবের যে ১৭সি ফর্ম, সেটা প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের বুথ থেকেই দিয়ে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ভোটের হার বাড়লে ধরা পড়বেই।
মহারাষ্ট্রের ভোটের ফলাফলের পর সামগ্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। ভোটার তালিকা সংশোধন থেকে ভোটগ্রহণ। আবার ভোটগণনা পর্যন্ত ব্যাপক কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে হাত শিবির। লক্ষ্যনীয়ভাবে ভোটগ্রহণের দিন আচমকাই শতাংশের হার বেড়ে যায়। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, ভোটগ্রহণের দিন কমিশনের তরফে ৫টার সময় জানানো হয়, ৫৮.২২ শতাংশ ভোট পড়েছে। সেখানে রাত ১১টায় জানানো হয়, শতাংশের হার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬৫.০২। পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি কার্যত অসম্ভব। এই একই অভিযোগে সরব হন বহু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞও। সেই তালিকায় নাম ছিল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের স্বামী পরকলা প্রভাকরও।
কিন্তু সেই অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করে দিল নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেসকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, গোটা ভোট প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু। নির্বাচন কমিশন সার্বিকভাবেই পুরো ভোটপ্রক্রিয়াতেই স্বচ্ছ্বতা বজায় রেখেছে। তাছাড়া ভোটপ্রক্রিয়ার সর্বত্রই কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা ছিলেন।