সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে প্রেমিকাকে খুন। ছক মাফিকই পালানোর চেষ্টা করেছিল সুশান্ত চৌধুরী। কিন্তু লাভ হয়নি। কয়েকঘণ্টার মধ্যে কার্যত সিনেমার কায়দায় বহরমপুর তরুণী খুনের (Baharampur Murder Case) অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পায়ে লেগে থাকা রক্ত চিনিয়ে দিয়েছে অপরাধীকে।
বিষয়টা ঠিক কী? মেসের সামনে সুতপাকে খুনের আগেই পালানোর পথ ঠিক করে রেখেছিল সুশান্ত। যে বাড়ির পাঁচিল টপকে এলাকা ছেড়েছিল, সেই পাঁচিলের উপর পেরেক বেঁকিয়ে রেখেছিল যাতে পালাতে সমস্যা না হয়। খুনের পর সেই পাঁচিল টপকে সুশান্ত এলাকা ছাড়ে বলে খবর। এরপর যায় একটি হোটেলে। সেখানে পালটে নেয় পোশাক। তবে এরই মাঝে প্রেমিকার ফোনে ফোন করেছিল সুশান্ত। এদিকে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে ধরতে তৎপর হয় পুলিশ। শুরু হয় নাকা চেকিং। যুবকের বাড়ি মালদহ হওয়ায় মালদহগামী সব গাড়ি আটকে চেকিং শুরু করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: শাস্তি পেয়েও হয়নি শিক্ষা, ধর্ষণের অভিযোগে ধরা পড়ার পর জামিন পেয়ে ফের ধর্ষণ!]
রাত দশটা নাগাদ একটি ভ্যানে করে কয়েকজন শ্রমিক ফিরছিলেন। তাঁদের মধ্যেই ত্রিপল গায়ে দেওয়া অবস্থায় এক যুবককে দেখতে পায় পুলিশ। তাঁর দিকে টর্চের আলো ফেলতেই জুতোয় রক্ত দেখতে পান আধিকারিকরা। সঙ্গে সঙ্গে ভ্যান থেকে নামানো হয় যুবককে। জামা পালটে ফেললেও সুশান্তকে চিনতে অসুবিধা হয়নি পুলিশের। জানা গিয়েছে, ধরা পড়ার পর নির্লিপ্ত কন্ঠে সুশান্ত জিজ্ঞেস করেছিল, প্রেমিকা বেঁচে আছে কি না।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তারির পরও নির্বিকার সুশান্ত। চেহারায় অনুশোচনার লেশমাত্র নেই। এমনকী ঘটনার দিনের কথা নিজেই জানাচ্ছে সে। জানিয়েছে, যে বন্দুক দিয়ে সকলকে ভয় দেখিয়েছিল সেটা আসলে খেলনা ছিল! যদিও কখনও কখনও সুশান্তর চোখে জলও দেখা গিয়েছে। কখনও আত্মহত্যার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে সে। সব মিলিয়ে ধৃতকে জেরা করতে গিয়ে হতবাক তদন্তকারীরা। এদিকে ধৃতের থেকেই পুলিশ জানতে পেরেছে, খুনের তিনদিন আগে থেকে বহরমপুরেই থাকতে শুরু করেছিল সুশান্ত। জানা গিয়েছে, সম্পর্কে টানাপোড়েনের পর প্রেমিকাকে বিভিন্ন ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল অভিযুক্ত যুবক। মীমাংসায় সালিশি সভাও বসেছিল। কিন্তু লাভ কিছুই হল না।