সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার (BNP Chairperson Khaleda Zia) শারীরিক অবস্থার অবনতি। শনিবার ঢাকার (Dhaka)এক নামী হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। হার্টের দুটি ব্লক রয়েছে, তার চিকিৎসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশেষভাবে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড। আগামী ৭২ ঘণ্টা হাসপাতালে চিকিৎসকদের কড়া তত্ত্বাবধানে থাকবেন খালেদা জিয়া। রবিবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের শারীরিক পরিস্থিতির সর্বশেষ আপডেটের কথা জানিয়েছে বিএনপির মিডিয়া সেল।
৭৭ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া একাধিক রোগে আক্রান্ত। লিভার সিরোসিস, কিডনি, আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের জটিলতা রয়েছে। গত বছরের জুনে তাঁর হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক (Heart block) ধরা পড়ে। এরপর একটি ব্লকে রিং পরানো হলেও এখনও দু’টি ব্লকের চিকিৎসা বাকি রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, শনিবার নেত্রীর শারীরিক অবস্থা অবনতির পিছনে এটাই কারণ। এনিয়ে সপ্তমবার তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করাতে হল।
[আরও পড়ুন: গুঁড়ো ফেললেই উধাও সেপটিক ট্যাংকের মল, মূত্র এবং দুর্গন্ধ, কলকাতা পুরসভার নয়া পাইলট প্রজেক্ট]
হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর সমস্ত শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। সেসব রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই কীভাবে জিয়ার হার্টের চিকিৎসা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড (Medical Board)। আপাতত ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থাকবেন ৭৭ বছর বয়সী নেত্রী। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাবাস শুরু হয় খালেদা জিয়ার। দু’বছর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তির পর থেকে তিনি গুলশনের বাসাতেই রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: গত এক দশকে বহু মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে ‘মন কি বাত’! দাবি নয়া রিপোর্টের]
পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তাঁর সাজা হয়। সবশেষে গত ২৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। মিডিয়া সেলের তরফে জানানো হয়েছে, সব শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পরই খালেদা জিয়ার হার্টে থাকা দুই ব্লকের চিকিৎসা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।