সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভোটমুখী বাংলাদেশে ক্রমে চড়ছে পারদ। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের লক্ষ্যে এবার টানা কর্মসূচি ঘোষণা করল দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দেশজুড়ে প্রতিবাদী মিছিল করবে খালেদা জিয়ার দল বলে খবর।
আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ফলে শাসকদল ও বিরোধীদের তরজা এখন তুঙ্গে। শেখ হাসিনা সরকারের বক্তব্য স্পষ্ট, ‘নির্বাচিত সরকারের অধীনেই স্বাধীন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে।’ কিন্তু, দেশের প্রাক্তন শাসকদল ও বর্তমানে দেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপির দাবি, ‘নির্বাচনের আগে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দল তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।’ বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে গণতন্ত্রের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় এমন কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংস্থার কেউ জড়িত থাকলে তাদের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় তালিকাভুক্ত করা হবে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণায় বিএনপি রীতিমতো চাঙ্গা।
[আরও পড়ুন: ইলিশের বদলে ডিম, মূল্যবৃদ্ধি রুখতে ভারত থেকে ৪ কোটি ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের]
এদিকে, আওয়ামি নেতাদের পালটা দাবি, বিএনপির নেতাকর্মীরাও মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত হতে পারে। ফলে বিএনপির এতে খুশি হওয়ার কিছু নেই। অবশ্য তদারকি সরকার না থাকায় বিএনপি ২০১৪ ও ২০১৯-এর নির্বাচন বয়কট করেছিল। এবারও এই এক দফা দাবি আদায়ে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসাবে ১৫ দিনের টানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে । এ কর্মসূচি আজ ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে তা চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। তবে ২০, ২৪ ও ২৮ সেপ্টেম্বর কোনও কর্মসূচি দেয়নি দলটি। কর্মসূচির মধ্যে রোড মার্চ এবং সমাবেশ রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার প্রবেশমুখে আটটি সমাবেশ করবে তারা। গতকাল সোমবার দলের চেয়ারপার্সন গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা জেলার জিনজিরা/কেরানীগঞ্জ এবং গাজীপুরের টঙ্গীতে সমাবেশ হবে। ২১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেটে রোড মার্চ। পরদিন (২২ সেপ্টেম্বর) বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় দেশের সমস্ত জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জটিল। ফের স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তাঁকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিয়ে যাওয়া হয়েছে।