সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৭ জন বাংলাদেশি (Bangladesh) অভিবাসীর। টিউনিশিয়ার রেড ক্রিসেন্টকে উদ্ধৃত করে এই খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে উদ্ধার ২৯টি মর্টার, মজুত করেছিল ভারত বিরোধী জঙ্গি সংগঠন]
জানা গিয়েছে, লিবিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলের জুয়ারা থেকে সিরিয়া, মিসর, সুদান, মালি ও বাংলাদেশের অভিবাসীদের নিয়ে ইটালির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল অভিশপ্ত নৌকাটি। তবে বেশিদূর এগিয়ে যাওয়ার আগেই অতিরিক্ত ভার ও উত্তাল জলরাশির ধাক্কা সামলাতে না পেরে টিউনিশিয়া উপকূলে ডুবে যায় নৌকাটি। এই ঘটনায় সাগর থেকে ৩৮০ জনের বেশি যাত্রীকে উদ্ধার করেছে টিউনিশিয়ার কোস্টগার্ড। রেড ক্রিসেন্টের আধিকারিক মংগি স্লিম বলেন, “এই ঘটনায় ১৭ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩৮০ জনের বেশি অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে যারা লিবিয়ার জুয়ারা থেকে ইউরোপের পথে রওনা দিয়েছিল।”
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন মাসে ভূমধ্যসাগর থেকে বাংলাদেশ ও মিশরের মোট ২৬৭ জন নাগরিককে উদ্ধার করে টিউনিশিয়ার কোস্টগার্ড। তাঁদের মধ্যে ২৬৪ জনই ছিলেন বাংলাদেশি। বাকি তিনজন ছিলেন মিশরের নাগরিক। তাঁরা লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইটালির পথে রওনা হয়েছিলেন। ভূমধ্যসাগরে তাঁদের ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। গত ২৪ জুন ভূমধ্যসাগর থেকে বাংলাদেশি, মিসরীয়সহ মোট ২৬৭ জনকে উদ্ধার করে টিউনিশিয়ার কোস্টগার্ড। তাঁদের মধ্যে ২৬৪ জনই ছিলেন বাংলাদেশি। বাকি তিনজন মিশরের নাগরিক। তাঁরা লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইটালির পথে রওনা হয়েছিলেন। ভূমধ্যসাগরে তাঁদের ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। শরণার্থীদের নিয়ে যে সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করে, তাদের মতে, এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে ইউরোপে আশ্রয় খুঁজতে যাওয়া মানুষজনকে প্রলোভন দেখিয়ে তাদের পাচারের ষড়যন্ত্র করে একদল অসাধু চক্র। দ্রুত নতুন দেশে পৌঁছে দেওয়া আশা দেখিয়ে তাঁদের রাবারের ডিঙা, কাঠের নৌকা ও জেলে নৌকায় তুলে দেয়। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ বহন করতে গিয়ে এসব নৌকা ভূমধ্যসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে যুঝতে অক্ষম হয়ে। ফলে দুর্ঘটনা অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। এখন বাংলাদেশের যুবকরা বেশি উপার্জনের আশায় প্রায়শয়ই এই ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপের দেশগুলিতে পাড়ি দেয়। ফলে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির দুর্ঘটনায় সলিলসমাধি হয়ে মৃতের তালিকায় বহু বাংলাদেশির নাম থাকে।