সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: তরুণীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার কাকদ্বীপে। গঙ্গাধরপুর ব্রিজের কাছে এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বুধবার রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে মুখবন্ধ একটি বস্তা থেকে পচাগন্ধ বেরোচ্ছে। পুলিশ গিয়ে বস্তার মুখ খুলতেই এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক অনুমান তাঁকে অন্যত্র খুন করে এখানে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু খুন নাকি মহিলা নির্যাতনের শিকার তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, বসিরহাটে মৎসজীবীদের জালে আটকা পড়ল এক যুবকের মৃতদেহ। ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গঙ্গাধরপুরের সপ্তমুখী নদীর সেতুর কাছে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন বাসিন্দারা। কাছে যেতেই পচাগন্ধ পান তাঁরা। খবর দেন পুলিশে। তাঁরা এসে বস্তা খুলতেই এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। দেহ দেখে তদন্তকারীদের অনুমান মৃতের বয়স ২৫ বছরের কাছাকাছি। পরিচয়হীন মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ। মহিলার পরিচয় ও কীভাবে মৃত্যু হয়েছে জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পাশাপাশি, বসিরহাটে মৎসজীবীদের জালে আটকা পড়ল এক যুবকের মৃতদেহ। বসিরহাটের মাটিয়া থানার মাটিয়া-শ্রীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলতলা এলাকার ঘটনা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম বিশ্বজিৎ মুন্ডা (২৯)। তিনি বসিরহাটের বাসিন্দা। কলকাতায় শ্রমিকের কাজ করতেন। সাইকেল গ্যারেজ মালিকের সঙ্গে ১০০ টাকার পাওনা জেরে তাঁকে খুন করে দেহ জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। ঘটনায় সাইকেল গ্যারেজের মালিক বাবু মণ্ডল ও সঙ্গী রাইহান বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পরিবার জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বিশ্বজিৎ শিয়ালদহ-হাসনাবাদ লোকালে মালতীপুর স্টেশনে ফেরেন। সেখান থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে প্রত্যেকদিনের মতো তিনি ও দুই বন্ধু গ্যারেজে সাইকেল নিতে যান। তখন গ্যারেজ মালিক পাওনা ১০০ টাকা দাবি করেন। শুরু হয় বচসা ও গণ্ডগোল। অভিযোগ, বিশ্বজিৎ মুন্ডা-সহ তিন শ্রমিককে গ্যারেজ মালিক বাবু মণ্ডল-সহ তাঁর লোকজন বেধড়ক মারধর করেন। বাকি দুইজন পালিয়ে গেলেও বিশ্বজিৎ পালাতে পারেননি।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে বিশ্বজিৎকে খুন করা হয়েছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ধৃতদের বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। শুধু পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে গণ্ডগোল? না কি পুরনো শত্রুতার জেরে এই ঘটনা? না কি পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে? সবদিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।