শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: মায়ের মৃত্যুর দশদিন পর ছেলের রহস্যমৃত্যু। ঘর থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায়। অবসাদের কারণেই আত্মঘাতী ওই গ্রামীণ চিকিৎসক? জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত গ্রামীণ চিকিৎসকের নাম নিরঞ্জন বিশ্বাস। বয়স ৪৫ বছর। উত্তর দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরের বাসিন্দা তিনি। কর্মসূত্রে মুর্শিদাবাদ ব্যারেজ প্রজেক্টের আবাসনে থাকতেন তিনি। দিন দশেক আগে মৃত্যু হয় তাঁর মায়ের। এরপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন নিরঞ্জনবাবু। থাকতেন একাই। বৃহস্পতিবার সকালে কয়েকজন নিরঞ্জনবাবুর কাছে গিয়েছিলেন ওষুধ আনতে। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি।
[আরও পড়ুন: পূর্বাভাস সত্যি করে সকাল থেকেই মুখভার আকাশের, সরস্বতী পুজোয় বৃষ্টির ভ্রুকুটি]
স্থানীয় সূত্রে খবর, এরপরই বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান তাঁরা। সকলে জড়ো হয়ে জানলায় চোখ রাখতেই নজরে পড়ে হাড় হিম করা দৃশ্য! দেখা যায়, গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন নিরঞ্জন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে নিরঞ্জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে মায়ের মৃত্যু শোক মেনে নিতে পারছিলেন না নিরঞ্জন। সেই কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।