shono
Advertisement

১৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর খুদের বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

কী কারণে খুন?
Posted: 03:59 PM Mar 21, 2022Updated: 03:59 PM Mar 21, 2022

অর্ণব দাস, বারাসত: নিখোঁজ থাকার ১৩ দিন পর উদ্ধার শিশুর বস্তাবন্দি দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার (Deganga) বেড়াচাঁপা সাধুখাঁ পাড়ায়। মৃত শিশুর পরিবারের দাবি, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে এক শিক্ষক। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষক ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Advertisement

জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর নাম রাকেশ কাহার। স্থানীয় সূত্রে খবর, ৮ মার্চ সকালে স্কুলে গিয়েছিল বছর সাতেকের ওই শিশুটি। তারপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। কিন্তু হদিশ মেলেনি খুদের। এরপরই দেগঙ্গা থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে। খুদের খোঁজে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ১৩ দিনের মাথায় সোমবার সকালে বেড়াচাঁপা চন্দ্রকেতু গড়ের পিছনে একটি পুকুরের মধ্যে বস্তাবন্দি মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। তাঁদের সন্দেহ হয় দেহটি রাকেশের। এরপরই খুদের মা দেহটি শনাক্ত করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।

[আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের আন্দোলনের চাপ, আটকানো হল গেট, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুই হল না বিশ্বভারতীতে]

স্থানীয় ও খুদের বাবা-মার অভিযোগ, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে এলাকার এক শিক্ষক। কিন্তু কেন? মৃত শিশুর বাবার স্বপন কাহারের অভিযোগ তিনি প্রতিবেশী হারান পাঁড়ুই নামে এক স্কুলের শিক্ষকের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কিনেছিলেন। খুব কষ্ট করে ওই শিক্ষকের কাছ থেকে জমি নেওয়ার পরও সেই জমি তিনি পাননি।

এরপর জমির টাকা ফেরত চাইতে গেলে অভিযুক্ত হারান পাঁড়ুই মৃত শিশুর বাবাকে প্রায় হুমকি দিত। অভিযোগ, সেই কারণেই শিশুটিকে খুন করেছে হারান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্ত শিক্ষক ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।

[আরও পড়ুন: ঝুলন্ত বাবা, বিছানা ও মেঝেয় পড়ে মা-মেয়ের দেহ, একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার