অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: রাতভর নিখোঁজ থাকার পর জলাশয় থেকে উদ্ধার কিশোরের দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল হাওড়ার চামরাইলের উত্তরপাড়ায়। দেহ উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। পরিবারের অনুমান, খুন করে দেহ ফেলে যাওয়া হয়েছে জলাশয়ে। কিন্তু কেন? নেপথ্যে কে বা কারা? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের নাম রাকেশ বিশ্বাস। চামরাইলের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সে। ঠিক কীভাবে রবিবার রাতে নিখোঁজ হয়ে গেল ওই কিশোর? মৃতের মা মামুন বিশ্বাস সোমবার বলেন, ‘‘রবিবার রাত ৯টা নাগাদ কারখানার কাজ সেরে বাড়ি ফিরে মেয়েকে জিজ্ঞেস করি দাদা কোথায়? মেয়ে বলে, দাদা আশপাশেই গিয়েছে। তার পর অনেকক্ষণ ছেলে বাড়ি আসছে না দেখে পাশের বাড়িতে খোঁজ করি। দেখি সেখানে যায়নি। তার পর সারারাত আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করি। ছেলেকে না পেয়ে অবশেষে গভীর রাতে লিলুয়া থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করি। তার পর সোমবার সকালে দেখি বাড়ির কাছেই একটি ঝোপের ভিতর জলাশয় ২ ফুট জলের মধ্যে আমার ছেলের দেহ ভাসছে।’’
রাকেশের মা আরও বলেন, ‘‘আমার ছেলে ওখানে রাতে গেল কীভাবে সেটাই বুঝতে পারছি না। ও কোনওদিন ওখানে যায়নি। মনে হচ্ছে আমার ছেলেকে কেউ কিছু করেছে। পুলিশ ভালো করে তদন্ত করে দেখুক।’’ রাকেশের জেঠু রামমোহন বিশ্বাস বললেন, ‘‘আমার ভাইপো সাঁতার জানতো না। ও জলাশয় নামার কথা নয়। তাহলে কীভাবে ওর জলাশয় থেকে দেহ পাওয়া গেলে। যে জলাশয় থেকে ভাইপোর দেহ পাওয়া গিয়েছে তার সামনেই একটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরে কিছু হল না অথচ দেহ পাওয়া গেল মাত্র ২ ফুট জল থাকা জলাশয়ে। এতেই আমাদের সন্দেহ বাড়ছে যে, ওইটুকু জলাশয় ও ডুবল কী করে? কেউ ওকে মেরে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’’
পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে পরিবারের অভিযোগও খতিয়ে দেখছে। এই প্রসঙ্গে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীনকুমার ত্রিপাঠি এদিন বলেন, ‘‘ওই কিশোরের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কোনওভাবে জলে ডুবে বা সাপের কামড়ে মৃত্যু হতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কীভাবে মৃত্যু তা কিছু বলা যাচ্ছে না।’’