অর্ণব আইচ: ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে উদ্ধার হল অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক এক বাঙালি অধ্যাপকের পচাগলা দেহ। রবিবার দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরের (Jadavpur) গল্ফগ্রিনে এই ঘটনাটিকে ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। কীভাবে মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই অধ্যাপকের নাম উদয়ন মুখোপাধ্যায় (৬৩)। এদিন গল্ফগ্রিনের ওই আবাসনটির বাসিন্দারা পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে দেখে, ফ্ল্যাটটি ভিতর থেকে বন্ধ। তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে যাদবপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা দেখেন, বিছানার উপর পড়ে রয়েছেন অধ্যাপক। শরীরে পচন ধরেছে। দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ প্রথমে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ দেখেছে, দেহটিতে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোটও মেলেনি। ফলে ওই অধ্যাপক আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি, অসুস্থতার ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই এই বিষয়টিতে পুলিশ নিশ্চিত হবে।
[আরও পড়ুন: ক্যানসার রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা, চুল দান করে নজির বাংলার তিন তরুণের]
মৃতের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ জানতে পারে যে, উদয়নবাবু গত ৬ মাস ধরে এই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। একাই থাকতেন তিনি। বেলুড়ের একটি কলেজে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন। অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতেন তিনি। এনআরআই হিসাবে তাঁর লাইফ টাইম ভিসাও আছে। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে মা-বাবার মৃত্যুর পর কলকাতায় চলে আসেন তিনি। সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই অধ্যাপক। এদিকে, গত ৩ জানুয়ারি হুগলির খানাকুলের বাসিন্দা স্বরূপা মান্না নামে এক গৃহবধূ রান্না করার সময় তাঁর পোশাকে আগুন ধরে যায়। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার কসবা এলাকার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয়। এদিন নার্সিংহোমেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এদিনই দক্ষিণ কলকাতার আদিগঙ্গা থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করা হয়। কালীঘাট থানার পুলিশ আধিকারিকরা খবর পেয়ে বলরাম বোস ঘাটের অদূরে জলকাদা থেকে দেহটি উদ্ধার করেন। দেহে বিশেষ কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। পুলিশের ধারণা, মদ্যপান করে যাওয়ার সময় পা পিছলে তিনি ভোররাতে গঙ্গায় পড়ে যান। তখনই মৃত্যু হয় তাঁর।