নন্দন দত্ত, বীরভূম: রহস্যজনকভাবে মৃত্যু আবাসিক স্কুলের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। মৃত পড়ুয়ার নাম রানিজা পারভিন। ময়ুরেশ্বরের প্রজা পাড়া এলাকায় বাড়ি তার। পড়াশোনা করত লাভপুরের নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে থেকে। সেখানেই তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে লাভপুরের নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে থেকে পড়াশোনা করত রানিজা। সেখানেই থাকত সে। শোনা গিয়েছে, স্কুলের ভিতরে রানিজার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। রানিজার মা তাজমীরা বিবি জানান, সকাল সাতটা নাগাদ স্কুলের পক্ষ থেকে তাঁকে ফোন করা হয়। বলা হয়, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মার্চ মাস জুড়ে হাওড়া শাখায় বাতিল ১৪ টি লোকাল ট্রেন, ভোগান্তির আশঙ্কায় যাত্রীরা]
মেয়ের অসুস্থতার খবর পেয়েই লাভপুরে যান তাজমীরা বিবি। হাসপাতালে পৌঁছে তিনি মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তাজমীরা বিবির অভিযোগ, মেয়ের গলায় ক্ষতচিহ্ন ছিল। এমন চিহ্ন যা গলায় ফাঁস লাগালে হয়। মেয়ের মৃত্যুর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকেই তিনি দায়ী করেছেন।
লাভপুরের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে রানিজার স্থানীয় অভিভাবক হিসেবে তার পিসতুতো দাদা শেখ সফিউল্লার নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল। তাঁর দাবি, স্কুলে ভাল রেজাল্ট করত রানিজা। তার ব্যবহারে কোনও অস্বাভাবিকত্ব ছিল না। ঘটনার পরই ময়ুরেশ্বর থেকে বেশ কিছু মানুষ লাভপুরের নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের সামনে হাজির হন। কিন্তু স্কুলে পরীক্ষা চলছিল। তাই কোনও বিক্ষোভ তাঁরা দেখাননি। তবে এই মৃত্যু কীভাবে হল, তা জানার দাবি জানানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত স্কুলের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি বা প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।