নিরুফা খাতুন: অবশেষে উদ্ধার ট্যাংরার (Tangra) নিখোঁজ ঝুনু রানার দেহ। নীলরঙের একটি ড্রামের ভিতর থেকে উদ্ধার দেহটি। ইতিমধ্যেই দেহটি শনাক্ত করেছে পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনার সূত্রপাত মার্চের প্রথম সপ্তাহে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ঝুনু রানা আচমকা বেপাত্তা হয়ে যান। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েও তাঁর পায়নি পরিবারের সদস্যরা। এরপরই ট্যাংরা থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এরপরই মৃতের বন্ধু গোলাম রব্বানির বাড়িতে যান পরিবারের সদস্যরা। জানতে পারেন রব্বানি ও তাঁর স্ত্রী বাড়িতে নেই। তারপরই অপহরণের মামলা দায়ের করে ঝুনুর পরিবার। তদন্তে নেমে ঝুনুর মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ। দেখা যায়, শেষ একটি নম্বরে ফোন করেছিল ঝুনু। সেই নম্বরের সূত্র ধরে রব্বানির হদিশ পায় পুলিশ। পরবর্তীতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
[আরও পড়ুন: ‘নিয়োগ দুর্নীতি যেন সোনার খনি, বাঁচাতে পারেন একমাত্র কৃষ্ণ’, আদালতে বললেন ED’র আইনজীবী]
পুলিশের দাবি, জেরায় গোলাম রব্বানি ঝুনুকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। তপসিয়ার খালে দেহ ফেলা হয় বলেও নাকি জানিয়েছিল ধৃত। সেই সূত্র ধরে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। অবশেষে কেএলসি থানার বামনঘাটা এলাকার একটি কাঠের ব্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার হয়েছে ঝুনুর দেহ। এদিন একটি নীল রঙের ড্রামে দেহটি মেলে। কচুরিপানায় ঢাকা ছিল ড্রামটি। জলাশয় থেকেই উদ্ধার হয়েছে ঝুনুর প্যান্ট ও বেল্ট। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।