নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট: একই কাপড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী মা ও ছেলে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে করিমপুর থানার মহিষবাথানে। মৃত মায়ের নাম রীতা মণ্ডল (৫৮) ও ছেলের নাম বিজয় মণ্ডল(৩৩)। করিমপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করেছে। বুধবার কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে বিজয় মণ্ডল মাস তিনেক ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় তাঁর চিকিৎসা করানোর পরেও রোগমুক্ত হতে পারেননি। বেশ কিছুদিন ধরে বাড়ি থেকে বেরতেন না তিনি। এদিকে ছেলের শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর মা রীতাদেবীও ভীষণভাবে চিন্তায় ছিলেন।
[আরও পড়ুন: বর্ষা পড়তেই সুখবর! দিঘা মোহনায় বন্দি ‘সমুদ্র দানব’, মাছ দেখতে উপচে পড়ল ভিড়]
স্বামীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বিজয় স্ত্রী সঙ্গীতা মণ্ডল। তিনি বলেন, “চৈত্র মাসের এক রাতে ফাঁকা মাঠে জমিতে সেচ দিতে গিয়ে প্রচন্ড ভয় পেয়ে মানসিক রোগগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া কিছুই সেভাবে করত না। বাড়িতে আমাদের সঙ্গেও কথাবার্তা খুব বলত না। নানা জায়গায় চিকিৎসা করাচ্ছিলাম কিন্তু সুস্থ করতে পারেনি।
স্ত্রী ও ছেলের মৃত্যু প্রসঙ্গে বিশ্বনাথ মণ্ডল বলেন, “ছেলে অসুস্থ হওয়ার পর থেকে ওঁর মাও একপ্রকার বিমর্ষ হয়ে গিয়েছিল। শুধু বলত, বিজয় তোর যদি কিছু হয়, তাহলে আমিও মরে যাব।” তিনি আরও বলেন, “বাড়িতে ওই সময় আমরা কেউ ছিলাম না। মাঠ থেকে আমি ও মেজো ছেলে সঞ্জিত বাড়ি ফেরার পর দোতলার একটি ঘরে গিয়ে দেখি, টিনের ছাউনি দেওয়া বাঁশের সঙ্গে একটি কাপড়ে লাগিয়ে একদিকে ছেলের মা ও অন্যদিকে ছেলে ঝুলছে। আশেপাশের লোকদের ডেকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।” দুজনকে দেখে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।