shono
Advertisement

হাওড়ায় এবার রেড ভলান্টিয়ারের রহস্যমৃত্যু, রেললাইনের ধারে মিলল রক্তাক্ত দেহ

ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, খতিয়ে দেখছে জিআরপি।
Posted: 06:58 PM Feb 22, 2022Updated: 07:01 PM Feb 22, 2022

অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু ঘিরে এমনিতেই উত্তপ্ত হাওড়া। এর মধ্যেই সেখানে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল আরেক রাজনৈতিক নেতার দেহ। সিপিএমের শাখা কমিটির সম্পাদক তথা রেড ভলান্টিয়ারের দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে।

Advertisement

মৃতের নাম সৌমেন কুন্ডু (৪২)। তিনি শিবপুর ছোট ভট্টাচার্যপাড়া শাখা কমিটির সম্পাদক। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধে ৭টা নাগাদও বাড়ির কাছে পাড়ায় দেখা গিয়েছিল। অন্যান্যদিনের মতোই শিবপুরের চ্যাটার্জিহাট বাসস্ট্যান্ডে তাঁকে আড্ডা মারতে দেখা গিয়েছিল। এর পর রাত সোয়া ৮টা নাগাদ একবার বাড়িতে ফোন করেছিলেন। তার পর থেকেই আর হদিশ মেলেনি তাঁর। রাতে চ্যাটার্জিহাট থানায় সৌমেনের পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। কিন্তু গভীর রাতে সাঁতরাগাছি জিআরপির তরফে সৌমেনের দেহ উদ্ধারের খবর তাঁর পরিবারকে জানানো হয়।

[আরও পড়ুন: মেডিক্যাল পড়ুয়াদের জন্য সুখবর, রাজ্যে বাড়ছে স্নাতকোত্তরের আসন]

পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে রোজকার মতোই বেরিয়েছিলেন সৌমেন। কিন্তু তার পর আর বাড়ি ফেরেননি। মঙ্গলবার সৌমেনের বউদি মৌসুমী কুন্ডু জানালেন, সোমবার রাত সোয়া ৮টা নাগাদ সৌমেনের সঙ্গে তাঁর শেষবার কথা হয়। তখন দেওর তাঁকে জানিয়েছিলেন, বাইরে একটি কাজে গিয়েছেন। ফিরতে দেরি হবে। এর পর বার বার যুবকের মোবাইল ফোন বেজে গেলেও ফোন ধরেননি। পরে মোবাইলটি নেটওয়ার্কের বাইরে চলে যায়। রাত ১১টা বেজে গেলেও সৌমেন বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। এর পর রাত ২টো নাগাদ সৌমেনের দাদা জয়দেব কুন্ডুকে দেহ উদ্ধারের খবর জানায় জিআরপি।

পুলিশ সূত্রে খবর, আবাদা স্টেশন থেকে ১ কিলোমিটার দূরে আবাদা ও সাঁকরাইল স্টেশনের মাঝে রেল লাইনে সৌমেনের দেহ মেলে। পুলিশ জানায়, যুবকের দেহে মাথার পিছনের দিকে গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু না এর পিছনে অন্য কোনও কারণ তা খতিয়ে দেখছে জিআরপি।

এদিকে যুবকের এই মৃত্যুকে ঘিরে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। মৃত যুবক বাড়ির কাছেই একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। কর্মসূত্রে খুব একটা বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না তাঁর। তাহলে কী কাজে তিনি সাঁকরাইল ও আবাদা স্টেশনের মাঝখানে পৌঁছলেন তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। যদি সাইকেল নিয়েই সৌমেন গিয়ে থাকেন তাহলে সেই সাইকেলটিই বা কোথায় গেল?

[আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যশিক্ষায় গৈরিকীকরণ! বিতর্কের মাঝেই চরকের নামে শপথগ্রহণ মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের]

সৌমেনের এক বন্ধু তথা সিপিএমের হাওড়ার দক্ষিণ পূর্ব এরিয়া কমিটির সদস্য সন্দীপ কোলে জানালেন, নিখোঁজ ডায়েরি করার পর পুলিশ মোবাইল ট্র্যাক করলে হয়তো সৌমেন কোথায় আছেন তা জানা যেত। আপাতত জিআরপি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে তদন্ত করছে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানালেন, পরিবারের তরফে লিখিতভাবে থানায় জানালে পুলিশ তদন্ত করবে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement