সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ ব্রিগেডের মাঠে মহাসভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ধুতি-পাঞ্জাবি পরে বাঙালি সাজে ব্রিগেডের মঞ্চে ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। জেলা, শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা ভিড় জমিয়েছেন মাঠে। মিঠুন ছাড়াও ব্রিগেডে উপস্থিত টলিউড তারকা হিরণ, রুদ্রনীল ঘোষ, পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী।
মঞ্চে মিঠুনকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়। বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি স্ট্রিটে সমর্থকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে আটকে পড়েছিল মহাগুরুর গাড়ি। বেশ কিছুক্ষণ পর ভিড় সরিয়ে গাড়ি এগিয়ে যায় ব্রিগেডের মাঠের দিকে। মঞ্চে উপস্থিত মহাগুরুকে নিজের দাদা, সবার দাদা বলে উল্লেখ করেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। এরপরেই দিলীপ ঘোষের হাত থেকে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ব্রিগেডের মাঠে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিলেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন।
[আরও পড়ুন:কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পদে ইস্তফা দিচ্ছেন ফিরহাদ, ছাড়ছেন সব সরকারি পদ]
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন মিঠুন। তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এরপরেই মঞ্চে ভাষণ দিতে উঠে খুব সহজেই সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছেন মহাগুরু মিঠুন। ছোটবেলা থেকে লালিত স্বপ্নের কথা শুনিয়েছেন, সেই স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকারও করেছেন তিনি। তাঁর ছবির একের পর এক সংলাপ বলে ব্রিগেডের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দেন মিঠুন। তিনি বলেছেন, জীবনে কিছু করার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু স্বপ্নেও ভাবেননি মঞ্চে প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে আসন ভাগ করে নিতে পারবেন। বলেছেন, ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখেছেন গরীবদের জন্য কিছু করার। স্বপ্ন হৃদয় দিয়ে দেখলে তা সফল করা যায়। তিনি গর্বিত যে তিনি বাঙালি। এরপরেই দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, রানী রাসমণি, বিদ্যাসাগরের মতো মণীষীদের কথা বলেছেন। নিজের ছবির জনপ্রিয় সংলাপ আউরে তিনি বলতে চেয়েছেন, রাজনীতির ময়দানে সত্যি সত্যি তিনি জাত কোবরা।
অন্যদিকে, ব্রিগেডের মাঠে পৌঁছে গিয়েছেন টলিউডের পরিচিত মুখ শর্বরী মুখোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ” প্রচুর জনসমাগম হয়েছে। বাংলার যা পরিস্থিতি তাতে বোঝা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলার রূপকার। তিনি বাংলাকে রক্ষা করার ডাক দিয়েছেন। যে পরিবর্তন ২০১১ সালে মানুষ দেখেছিল, ভরসা করেছিল, আজ মানুষকে চূড়ান্ত নির্যাতনের মুখে পড়তে হয়েছে। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়েও ভারতবর্ষের মানচিত্রে মহিলা নির্যাতনে এই রাজ্য প্রথম। ”