সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘জিন্দেগি ক্যায়সি হ্যায় পহেলি…।’ জীবন সত্যিই ধাঁধাঁ। কার যাত্রা কখন কোথায় শেষ হয়, কেউ বুঝতে পারে না। বুঝতে পারেননি গানের রচয়িতা যোগেশ গৌর। শনিবার প্রয়াত হন তিনি। বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন লতা মঙ্গেশকর।
টুইটারে লতা মঙ্গেশকর লিখেছেন, “আমি এখনই জানতে পারলাম যোগেশজির স্বর্গবাস হয়েছে। খুব ভাল ও শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন যোগেশজি। তাঁর লেখা অনেক গান আমি গেয়েছি। আমি তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই।” অন্য আর একটি টুইটে সুরসম্রাজ্ঞী যোগেশ গৌরের দীনানাথ পুরস্কার গ্রহণ করার ছবি পোস্ট করেন। ২০১৮ সালে গীতিকারের হাতে এই পুরস্কার তুলে দিয়েছিলেন নীতীন গড়কড়ি।
[ আরও পড়ুন: হ্যারি পটারের পর ফের শিশুদের জন্য রাউলিং ম্যাজিক, লকডাউনেই এল নয়া কল্পকাহিনি ]
মূলত লখনউয়ের অধিবাসী ছিলেন যোগেশ গৌর। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তাঁর ভাই ও চিত্রনাট্যকার যোগেন্দ্র গৌরের সহায়তায় তিনি মুম্বই আসেন। তিনি এল বি লাচম্যানের হয়ে গান লিখতেন। তখনই পরিচালক হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায় তাঁর একটি গান শুনেছিলেন- ‘কহিঁ দূর যব দিন ঢল যায়ে’। পরিচালক সিদ্ধান্ত নেন ‘আনন্দ’ ছবিতে গানটি ব্যবহার করবেন তিনি। বলিউডে সেই যাত্রা শুরু যোগেশ গৌরের। সংগীত পরিচালক সলিল চৌধুরী তাঁকে নিরন্তর গান লেখা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে উৎসাহিত করতেন। যার ফলস্বরূপ বলিউড একাধিক এভারগ্রিন গান উপহার পায়। যার মধ্যে ছিল ‘রজনীগন্ধা ফুল তুমহার, মেহেকে য়ুহি জীবন মে’, ‘রিমঝিম ঘিরে সাওয়ন’, ‘জানেমন জানেমন তেরে দো নয়ন’, ‘ম্যায়নে কাঁহা ফুলো সে’র মতো গান।
কয়েক যুগে আগে লেখা এই সব গান এই প্রজন্মকেও মোহিত করে। আজও কেনও প্রেমিক বা প্রেমিকা প্রেম নিবেদন করার সময় এই লাইনগুলিরই সাহায্য নেয়। যোগেশজির ‘কয়ি বার ইউহি দেখা হ্যায়’ গায়ক মুকেশকে সেরা প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে জাতীয় পুরষ্কার এনে দিয়েছিল। ১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বেওয়ফা সনম’ ছবি ছিল তাঁর জীবনের শেষ বড় কাজ। এরপর ২০১৭ সালে NDFC’র ছবি ‘অ্যাংরেজি মে কহতে হ্যায়’-এ দু’টি গান লিখেছিলেন তিনি। ‘পিয়া মোসে রুঠ গিয়ে’ এবং ‘মেরি আঁখে’। গানগুলি গেয়েছিলেন শান।
[ আরওপড়ুন: ভারতে এলেই গ্রেপ্তার করা হবে নোবেলকে! ত্রিপুরায় দায়ের এফআইআর ]
The post প্রয়াত বিশিষ্ট গীতিকার যোগেশ গৌর, টুইটারে শোকপ্রকাশ লতা মঙ্গেশকরের appeared first on Sangbad Pratidin.