সন্দীপ্তা ভঞ্জ: বাংলার মাটিতে বিশ্ব সিনেমা দেখার সুবর্ণ সুযোগে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এই কয়েকটা দিন কলকাতার সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রস্থল নন্দন চত্বরে সিনেপ্রেমী মানুষজনের ভিড়ের ছবিটা প্রতি বছরের। এবছরও তার ব্যতিক্রম নেই। আনন্দ করে দেশি, বিদেশি সিনেমা দেখছেন নানা বয়সি দর্শকরা। তবে শনিবার সেই আনন্দের মাঝে দেখা গেল প্রতিবাদের ছবি। বাংলাদেশ পরিস্থিতির আঁচ নন্দন চত্বরে। শিল্পীরা জমায়েত করে গানে, কবিতায় প্রতিবাদ জানালেন। দাবি দুই, ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তি এবং জাতীয় পতাকা অবমাননায় অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি।
শনিবার বিকেলে নন্দন চত্বরের রানুছায়া মঞ্চের সামনে দেখা গেল জাতীয় পতাকা হাতে প্রতিবাদে নেমেছেন কালচার অফ লিটারারি ফোরামের বেশ কয়েকজন শিল্পী। চলছে আবৃত্তি, গান, নাচ। বঙ্গ সংস্কৃতির মধ্যে দিয়েই তাঁরা প্রতিবাদে মুখর হয়েছে। বিশ্ব সিনেমার প্রদর্শনীর মাঝেও কাঁটা বাংলাদেশ ইস্যু। গত কয়েক সপ্তাহে প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি বাংলা ভাষাভাষী মানুষজনের স্বাভাবিক ঐক্য, আদানপ্রদানের পরিবেশ অনেকটাই বদলে দিয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে এদেশের সংস্কৃতি সমাজের গর্জে ওঠা স্বাভাবিক। আর কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব হয়ে দাঁড়াল সেই প্রতিবাদের মঞ্চ।
প্রতিবাদী শিল্পীদের দাবি দুই। চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তি এবং জাতীয় পতাকার অবমাননার কড়া শাস্তি।ওপার বাংলার বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পড়ুয়াদের পদতলে তেরঙ্গা - এই ছবি দেখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সে দেশেরই বিশিষ্টজনরা। আর এপার বাংলায় তো বিক্ষোভ স্বতঃস্ফূর্ত। বিশেষত তা যদি বিশ্ব মঞ্চ হয়, তবে তার প্রভাব পড়বে আরও বেশি। এদিনের প্রতিবাদে শামিল হন অভিনেত্রী তথা বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়, জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শামিল হন কবি, সাহিত্যিকরাও। এবছর চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের কোনও ছবি দেখানো হচ্ছে না। তবে সংস্কৃতির প্রাঙ্গণেই বাংলাদেশ ইস্যুতে প্রতিবাদ আছড়ে পড়ল।