নন্দন দত্ত, বোলপুর: বোলপুরে নতুনগীত গ্রামে নারকীয় গোটা পরিবারকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় নাজনি নাহার বিবি ওরফে স্মৃতিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হয় রবিবার। বোলপুর মহকুমা আদালত ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত হাতুড়ে ডাক্তার শেখ সফিকুল ইসলাম ওরফে চন্দনের খোঁজও মিলেছে অবশেষে। এদিন তাঁকে আটক করে পুলিশ।
এদিন সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন ফরেনসিক বিভাগের আধিকারিকরা। টিমে রয়েছেন ৬ জন আধিকারিক। ইতিমধ্যেই নমুনা সংগ্রহ থেকে খতিয়ে দেখছেন ঘটনাস্থল। বোলপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের তত্ত্বাবধানে গোটা এলাকা পুলিশি নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে। মা ও শিশু সন্তানের পর শনিবার সকালে মৃত্যু হয় শেখ আবদুল আলীম (৪৫)। বৃহস্পতিবার রাত থেকে বর্ধমানের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আবদুল। ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়িতে অগ্নিসংযোগে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় মা রূপা বিবি ও চার বছরের সন্তান আয়ানের।
[আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া থেকে নেপাল, বিদেশ পাড়ি মুর্শিদাবাদের জগন্নাথের]
নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাত্রে বীরভূমের বোলপুর সংলগ্ন রায়পুর-সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন গীতগ্রামে। গ্রামবাসীদের দাবি, মৃত আবদুল হালিমের ভাই রতন শেখের স্ত্রী স্মৃতি বিবির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত ছিল পাশের গ্রামের এক হাতুড়ে ডাক্তার শেখ সফিকুল ইসলামের। আর এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিবারে চলত বিবাদ। হাতুরে ডাক্তারের বাড়ি সুপুর বানপাড়া এলাকায়। বিষয়টি জানাজানি হতেই আক্রোশ বাড়ে মৃত আবদুল হালিমের পরিবারের উপর। এর পরই ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা।