শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: নিমতিতা বিস্ফোরণ কাণ্ডের ১০ দিনের মধ্যে এবার বোমা উদ্ধার হল মুর্শিদাবাদের সাঁকোপাড়া থেকে। শুক্রবার সকালে সাঁকোপাড়া হল্ট স্টেশনে দুটি লাইনের মাঝে বোমাগুলি পড়ে থাকতে দেখেন যাত্রীরা। জনবহুল স্টেশনে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সকলের মধ্যে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বোমাগুলি ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে, নিমতিতা কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও ২ জন।
১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে কলকাতা আসার জন্য ট্রেন ধরতে নিমতিতা (Nimtita) স্টেশনে গিয়েছিলেন মন্ত্রী জাকির হোসেন। সেখানে রাখা বোমা বিস্ফোরণের জেরে গুরুতর জখম হন শ্রমমন্ত্রী জাকির হোসেন-সহ কমপক্ষে ২৩ জন। মন্ত্রীর হাতের একটি আঙুল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে, তা জানতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিআইডি, বম্ব স্কোয়াড, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। ঘটনার তদন্তে নেমে কয়েকদিন আগে এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার ও ২ যুবককে আটক করেছিল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয় আটক যুবককে। শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হল তাদেরও। ধৃতদের নাম আবু সামাদ ও সইদুল ইসলাম। এদের মধ্যে একজন সুতির ও অপরজন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানিয়েছেন, “ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। আগামিকাল তাদের জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘পুকুরে সাঁতরাতে পারে না, ইংলিশ চ্যানেল জয়ের স্বপ্ন দেখছে!’, আব্বাসকে খোঁচা সিদ্দিকুল্লাহর]
উল্লেখ্য, নিমতিতা কাণ্ডের পর ক’দিন আগে সুতি থেকে উদ্ধার হয় বস্তাভরতি বারুদ। অনুমান করা হয়েছিল, পরিকল্পনামাফিক ফেলে রাখা হয়েছে ওই বারুদের বস্তা। সেই ঘটনার কয়েকদিনের ব্যবধানে ফরাক্কা ও ধুলিয়ান গঙ্গা স্টেশনের মধ্য সাঁকোপাড়া হল্ট স্টেশনে রেল লাইন থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। নিমতিতা স্টেশনের কায়দায় বিস্ফোরণের ছক কষেই সাঁকোপাড়ায় বোমা রাখা হয়েছিল বলেও মনে করা হচ্ছে।