রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: গত বছর বোমা বিস্ফোরণ ১১ জনের প্রাণ যায়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও খাদিকুলে তাজা বোমা ও বোমা তৈরির বারুদ উদ্ধার। যা নিয়ে ভোটের মাঝে তীব্র চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়।
শনিবার ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ১২টা হবে। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা ১ নম্বর ব্লকের খাদিকুলের জঙ্গলে গ্রামবাসীরা কাজ করতে যান। জঙ্গলের ভিতর একটি হাঁড়ি দেখে তাজ্জব হয়ে যান স্থানীয়রা। ওই হাঁড়িতে উঁকি দিতে প্রচুর পরিমাণ বোমা তৈরির বারুদ দেখতে পান। গ্রামবাসীরা এগরা থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থালে পৌঁছয় এগরা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। উর্দিধারী গ্রামে পৌঁছতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। পুলিশি নজরদারির অভাবে গ্রামে এভাবে বোমা তৈরির বারুদ মজুত করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। সে কারণে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
[আরও পড়ুন: যৌন কেলেঙ্কারিতে মোদিকে জড়ানোর ষড়যন্ত্র! ‘নীল নকশা’ কার? বিস্ফোরক কর্নাটকের বিজেপি নেতা]
বলে রাখা ভালো, গত বছর ১৬ মে খাদিকুলে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। তাতে কারখানার মালিক ভানু বাগ-সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়।
খাদিকুলের বিস্ফোরণস্থল
বর্তমানে বিস্ফোরণের ঘটনায় ভানু বাগের ছেলে পৃথিজিৎ বাগ, ভাইপো ইন্দ্রজিৎ বাগ এবং প্রসেনজিৎ বাগ গ্রেপ্তার হয়। বর্তমানে তারা সকলেই জামিনে মুক্ত।
খাদিকুলের বিস্ফোরণের মুহূর্তের ছবি
এলাকাবাসীর দাবি, ভানু বাগের ছেলে পৃথিজিৎ বাগ এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতারা আবারও বোমা তৈরি করছে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের সেই জায়গায় বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্নের ভিড়।
এই ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মোহনপুরে বিকেলে সভা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। সেই সভায় খাদিকুলের বেশ কয়েকজন যোগ দেওয়ার কথা। তাই তার আগে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছিল। বোমা এবং বোমা তৈরির বারুদ মজুত করা হয়েছিল বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবির। যদিও এই ঘটনায় শাসক শিবিরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।