দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চলছে জোর তরজা। কুলপিতে তিনজন শিশু বোমা ফেটে জখম হয়েছিল। মিনাখাঁয় বোমা বিস্ফোরণে নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। তারই মাঝে হুগলিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে উদ্ধার বোমা। শিক্ষাঙ্গণে দুষ্কৃতীরাজ, এমনই দাবিতে সরব বিরোধীরা। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই পালটা দাবি রাজ্যের শাসকদলের।
সোমবার সকালে স্থানীয়রা দেখতে পান হুগলির ব্যান্ডেলের (Bandel) নলডাঙা নারায়ণপুর প্রাইমারি স্কুলের মাঠে তিনটি বোমা পড়ে রয়েছে। স্কুলের মাঠে কে বা কারা তিনটি তাজা বোমা রেখে গেল, তা স্পষ্ট নয়। স্থানীয়রা খবর দেয় থানায়। পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বোমাগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা চলছে।
[আরও পড়ুন: কীভাবে বুঝলেন ‘কয়লা ভাইপো’ অভিষেকই? শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনকে পালটা প্রশ্ন শুভেন্দুর]
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, “প্রাতঃভ্রমণ সেরে ফেরার সময় দেখি স্কুলের মাঠের সামনে বোমা পড়ে রয়েছে। কোনওদিন যা দেখিনি তা হল। শিশুরা বল ভেবে এগুলো নিয়ে খেলতে গেলে বড় বিপদ হতে পারত। জখম তো হতই, প্রাণ যাওয়ায় অসম্ভব নয়।” এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত স্কুলপড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকরা। বোমা উদ্ধারের পর কীভাবে নিশ্চিন্তে শিশুদের পাঠাবেন, সে প্রশ্ন বারবার অভিভাবকদের মনে উঁকি দিচ্ছে।
এদিকে, বোমা উদ্ধারের ঘটনায় শুরু রাজনৈতিক তরজা। সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং বিজেপির জন্য হুগলিতে বোমার আমদানি হয়েছে বলেই দাবি চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তিনি বলেন, “স্কুলের মাঠ থেকে বোমা উদ্ধারের সত্যতা জানিনা। সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। বোমার মাধ্যমে কীভাবে সকলকে ভয় দেখানো যায়, সেই চেষ্টাই চলছে।” পালটা তৃণমূল বিধায়ককে দুষেছেন হুগলি জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ। তিনি বলেন, “উচ্চ নেতৃত্ব নিচুতলার কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বোমা, বন্দুক মজুত করতে। কারণ, সাধারণ মানুষের রায়ে ওরা আর জিততে পারবে না। বোমা, বন্দুকের মাধ্যমে জিততে হবে। নিজেরা মজুত করে এখন সাংসদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে। বিধায়কের নেতৃত্ব দুষ্কৃতী কার্যকলাপ চলছে। পুলিশ সেদিকে নজর দিচ্ছে না।”