অর্ণব আইচ: বেলেঘাটা বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, ওই ক্লাবেই মজুত ছিল সাত থেকে আটটি বোমা। মঙ্গলবার সকালে যা ফেটে যায়। যদিও এখনও এই বিষয়টি মানতে নারাজ ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কেউ বা কারা সাতসকালে ক্লাব লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়ে পালিয়েছিল বলেই দাবি তাঁদের।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সকালে। ওইদিন প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বেলেঘাটার (Beleghata) একাংশ। বেলেঘাটা গান্ধী ভবনের পাশে একটি ক্লাব থেকে তীব্র শব্দ পান স্থানীয়রা। হুড়মুড়িয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন আশেপাশের বাসিন্দারা। ছুটে বেরিয়ে দেখেন ক্লাবের ছাদ এবং দেওয়ালের একাংশ উড়ে গিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডকেও। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অনুমান করে, বোমা মজুত করা ছিল ক্লাবেই। নিশ্চিত হতে ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু প্রথম থেকেই একথা মানতে নারাজ ছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। বোমা মজুতের অভিযোগ তুলে সরব হন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। কলকাতার প্রতিটি ক্লাবে তল্লাশির দাবিও জানান তিনি।
[আরও পড়ুন:শুধু শুভেচ্ছাবার্তাই নয়, এবার বাংলার দুর্গাপুজোর ভারচুয়াল উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী]
এরপরই চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন গোয়েন্দারা। তাঁদের দাবি, বোমা মজুত ছিল ক্লাবেই। সম্ভবত সঙ্গে বোমা তৈরির সামগ্রীও রাখা ছিল সেখানে। কোনওভাবে তা ফেটে যায়। আর এখানেই প্রশ্ন, কেন ওই ক্লাবে মজুত করা হয়েছিল? নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছেন? ওই ক্লাবের নিচেই রয়েছে শিশুদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। অহরহ লোকের যাতায়াত লেগেই থাকে সেখানে। ফলে দিনের অন্যকোনও সময় এই বিস্ফোরণ হলে তার পরিণতি কী হত, তা ভেবেই আতঙ্কিত স্থানীয়রা। যদিও এখনও গোয়েন্দাদের দাবি মানতে রাজি নয় ক্লাব। কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও ষড়যন্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।