সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের ১৭ বছরের মেয়েকে ধর্ষণে অভিযুক্ত। বিচারাধীন অবস্থায় বছর খানেক ধরে জেলবন্দি। বুধবার এমন ব্যক্তিকেই জামিন মুক্ত করল বম্বে হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্ত্রীর সঙ্গে গোলমালের পরেই মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টি সামনে আসে। তার আগে পারস্পরিক সম্মতিতে বিচ্ছেদ হয়েছিল ওই দম্পতির। ওই ব্যক্তি দ্বিতীয় বিয়ে করতেই গোলমাল শুরু হয়।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গত বছর থানের মুম্বরা থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল। যেখানে নিজের মেয়েকেই ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তির আইনজীবীর দাবি, সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে। দাম্পত্য কলহের জেরে রাগ মেটাতেই যাবতীয় অভিযোগ। নির্যাতিতার বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলেও দাবি করেন অভিযুক্তের আইনজীবী। শুনানিতে তিনি জানান, পারস্পারিক সম্মতিতে বিচ্ছেদ হলেও আর্থিক চাহিদা নিয়ে মতানৈক্যের জেরেই মক্কেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।
যদিও সরকার পক্ষের উকিল জামিনের বিরোধিতা করেন। দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি মণীশ পিটাল প্রশ্ন তোলেন, ২০২১ সালের ঘটনা (ধর্ষণ) বাস্তবে ঘটলে, ২০২৩ সালে দ্বিতীয়বার বিয়ে করার পরে মেয়ে ফিরে আসবে কেন বাবার কাছে! বিচারপতি আরও বলেন, নির্যাতিতা জানিয়েছেন যে তিনি বাবার কাছে আসেন মায়ের সঙ্গে মতপার্থক্য হওয়ার কারণে। সব দিক বিবেচনা করে এক বছর জেলবন্দি থাকার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে আদালত।