সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসুস্থ ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Former PM Manmohan Sing)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে দিল্লির এইমসে (AIMS)। ৯২ বছরের রাজনীতিবিদকে আপৎকালীন বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তাঁর অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, অত্যধিক শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় দ্রুত মনমোহনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে তাঁকে আইসিইউয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
১৯৯১ সালে প্রথমবার রাজ্যসভার সদস্য হন মনমোহন সিং। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনিই ছিলেন দেশের অর্থমন্ত্রী। উদার অর্থনীতিকরণের মুখ্য রূপকার বলা হয় তাঁকে। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পালন করার পরে ২০০৪ সালে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। ২০০৯ সালেও তিনি ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। পরপর দুবার, সব মিলিয়ে ১০ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
‘অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ হিসেবেই এদেশের রাজনীতিতে মনমোহনের (Manmohan Sing) অন্যতম পরিচয়। বিরোধীরা সেই সময় কটাক্ষ করতে থাকেন, মনমোহন স্রেফ ‘ছায়া’। ১০ জনপথের বাসিন্দা সোনিয়াই ‘সুপার পিএম’। তবে সেই বিরোধিতা তেমন পোক্ত ছিল না। থাকলে ২০০৯ সালে আবারও ক্ষমতায় কি ফিরতে পারত কংগ্রেস?
এই বছরের এপ্রিলে রাজ্যসভা থেকে অবসর নেন মনমোহন সিং। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে দেখা যায় তাঁকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির 'ঘৃণাভাষণ' নিয়ে তোপ দেগেছিলেন মনমোহন। তিনি বলেন, “নির্বাচনী প্রচারে মোদি কীভাবে কথা বলেছেন সেটা খেয়াল করেছি। ঘৃণাভাষণের সবচেয়ে জঘন্যতম পর্যায়ে নেমে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদিই হলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী যে জনসভায় এমন জঘন্য ভাষা প্রয়োগ করেছেন। এইভাবে প্রধানমন্ত্রী পদেরও অবমাননা করেছেন তিনি।” পালটা পদ্ম শিবিরের দাবি, মনমোহন হাস্যকর কথা বলছেন। রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিলেও দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ছাড়েননি। এমনকী মনমোহনের বক্তব্যকে ‘ননসেন্স’ বলেও তোপ দাগে বিজেপি। এই কোন্দল থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়, ভারতীয় রাজনীতির অলিন্দে এখনও প্রাসঙ্গিক রয়েছেন মনমোহন।