দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এবার কলেজের ফুটবল খেলা ঘিরেও বোমাবাজির অভিযোগ উঠল ভাঙড়ে। ঘটনায় নাম জড়ায় জীবনতলা রোকেয়া মহাবিদ্যালয় ও ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ের। খেলার মাঠেই পরপর দুটো বোমা ফাটার অভিযোগ ওঠে। তাতে ঘণ্টাখানেকের উপর খেলা বন্ধ থাকে। বোমার ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে জীবনতলার ছেলেরা দৌড়ে ভাঙড় থানায় ঢুকে যায়। পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তা দিয়ে জীবনতলা অবধি পৌঁছে দেয়। এই ঘটনায় ভাঙড় কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক অল্পবিস্তর আহত হন। ঘটনার পরই ভাঙড় থানার পুলিশের উপস্থিতিতে বাকি খেলা পরিচালনা করা হয়।
গত তিনদিন ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৩টি কলেজের মধ্যে জেলাস্তরের আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট চলছে। ম্যাচগুলি অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভাঙড় কলেজ মাঠ ও ভাঙড় হাই স্কুল মাঠে। এদিন দুপুরে মন্দিরবাজার গৌরমোহন হরিমোহন মণ্ডল কলেজ ও জীবনতলা রোকেয়া মহাবিদ্যালয়ের মধ্যে সেমিফাইনাল ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচে অভিযোগ ওঠে জীবনতলার বেশ কয়েকজন ফুটবলার কলেজ পড়ুয়া নয়। ম্যাচের অবজার্ভার প্রমাণপত্র দেখতে চাইলে দুই ছাত্র কলেজে পড়ার কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি। এরপর ম্যাচ পরিচালন কমিটির কর্তারা ওই দুই খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে ম্যাচ খেলতে বলেন। সেই সময় বেঁকে বসে জীবনতলার ছাত্ররা। সেই সময় ভাঙড় কলেজের ছেলেরা গৌরমোহন কলেজের সঙ্গে সেমিফাইনাল খেলার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। এমন সময় ফুটবল মাঠেই পরপর দুটি বোমা ফাটে। এরপর খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
[মোটা টাকার বিনিময়ে রক্ত বিক্রি চক্রের পর্দাফাঁস বনগাঁয়]
ফুটবল ম্যাচের অবজার্ভার মিলন কুমার সাহা বলেন, ‘রোকেয়া মহাবিদ্যালয়ের দুটো খেলোয়াড় কলেজে পড়ার প্রামনপত্র দেখাতে পারেনি। তাই তাঁদের পরিবর্তে অন্য খেলোয়াড় দেওয়ার কথা বলা হয়। এ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ টানাপোড়েন চলে। হঠাৎ দুটো চকোলেট বোমা জাতীয় কিছু ফাটে। তাতে আতঙ্ক ছড়ায়। জীবনতলার ছেলেরা চলে যায় মাঠ ছেড়ে।‘ রোকেয়া মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল রহিম বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ভাঙড় কলেজের খেলা ছিল। হেরে যাওয়ার ভয়ে ভাঙড় কলেজ বোমাবাজি করে, অশান্তি করে। আমরা প্রাণ বাঁচাতে থানায় যাই। পুলিশি নিরাপত্তায় জীবনতলায় ফিরি। আমরা চাইছি অন্য কোনও মাঠে খেলা হোক আবার।‘
The post ফুটবল ম্যাচেও বোমাবাজির অভিযোগ, চাঞ্চল্য ভাঙড়ে appeared first on Sangbad Pratidin.