নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ফের আতঙ্ক বীরভূমের বগটুই গ্রামে। শনিবার বিকালে ১৫টি তাজা বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। বগটুই গ্রামের রাস্তার ধারে একটি প্লাস্টিকের জার দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। পুলিশে খবর দেন তাঁরা। রামপুরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান, ১৫টি বোমা রয়েছে জারে। ডাকা হয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। তাঁরা এসে বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে। চলতি মাসেই বগটুইতে অগ্নিকাণ্ড ও গণহত্যা মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে নাশকতার জন্য কি বোমা মজুত করা হচ্ছিল? এই প্রশ্ন উঠছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে বড়শাল পঞ্চায়েতের বগটুই (Bagtui) গ্রামের পূর্বপাড়ার লোকজন গাছের গোড়ায় মাটি দেওয়ার জন্য মাটি খুঁড়ছিলেন। তখনই উদ্ধার হয় বোমাভর্তি জারটি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই জারে ১৫ টি বোমা (Bombs)মজুত ছিল। খবর পেয়ে রামপুরহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমাগুলিকে ঘিরে রাখে। খবর দেওয়া হয় সিআইডি-র (CID) বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। এই স্কোয়াডের সদস্যরা গিয়ে সব কটি বোমা নিষ্ক্রিয় করে দেন। এলাকাবাসীকে আশ্বাস দিয়ে জানান, আর ভয়ের কিছু নেই।
[আরও পড়ুন: মেট্রো বা বাইক নয়, হেঁটে একুশের মিছিলে যোগ দিন! দলীয় নেতাদের নির্দেশ তৃণমূলের]
উল্লেখ্য, আগামী ২৫ জুলাই রামপুরহাট (Rampurhat)আদালতে বগটুই গণহত্যা মামলার শুনানি হওয়ার কথা। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গ্রামে চাপা আতঙ্কের পরিবেশ। কারণ, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন-সহ বাকিরা জেলবন্দি। দুপক্ষের সাক্ষীদের উপরেই সিবিআই (CBI) মামলাটি কোন পথে চালিত করে, তা নির্ভর করছে। ফলে তার আগে ফের গ্রামে উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য এই বোমা মজুত কিনা, সে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। ২০২২ সালের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমাবাজিতে হত্যার অভিযোগ ওঠে। তার বদলায় বগটুই গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেয় বিপক্ষের লোকজন। মৃত্যু হয় মোট ১২ জনের। রাজ্য রাজনীতিতে তা এক জ্বলন্ত ঘটনা। এলাকার একাধিক রাজনৈতিক নেতার নাম জড়ায়। সেই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। এখনও তার কিনারা হয়নি। আগামী ২৫ তারিখ শুনানির আগে ফের এতগুলি বোমা উদ্ধার হওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠছে।