ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বর্ধমানের রসিকপুরের পর বোমা উদ্ধার ঘিরে উত্তপ্ত বীরভূমের নানুর (Nanur)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ননগর-কড্ডা অঞ্চলের ডাঙাপাড়া গ্রাম থেকে পুলিশ ৪০টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। বোমাগুলি গ্রামের একটি গাছের ঝোপের মধ্যে থেকে ব্যাগে ভরা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও বেশ কিছু বোমা আশেপাশে ছড়িয়ে রাখা হয়ে ছিল বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এই এলাকাগুলিতে গরু, ছাগল চড়াতে আসে ছেলেমেয়েরা। যেভাবে বোমাগুলি (Bombs) ছড়ানো ছিল, তাতে এই বোমা ফেটে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো বলে আশঙ্কা তাঁদের।
সোমবারই বর্ধমান জেলায় রাস্তার ধারে পড়ে থাকা বোমা ফেটে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডি (CID)। রাজ্যে ভোটের আবহে এ ধরনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে নানুর থানার পুলিশ বোমাগুলি ঘিরে রেখেছে, ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমাগুলি পরীক্ষা করে বম্ব স্কোয়াড। বোমা উদ্ধার ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল-বিজেপির মিছিলে মুখোমুখি সংঘর্ষ, খেজুরিতে ভাঙচুর শাসকদলের প্রার্থীর গাড়ি]
অন্যদিকে, নানুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির (BJP) প্রচার ঘিরেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এদিন বিজেপি প্রার্থী তারক সাহা বাসাপাড়া এলাকায় প্রচারে বেড়িয়েছিলেন। মিছিলটি তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ে আচমকা তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে দু’পক্ষের বাকবিতন্ডা থেকে হাতাহাতি বেঁধে যায়। পরে নানুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখনও এলাকায় উত্তেজনা জারি রয়েছে। বাংলার রাজনৈতিক মানচিত্রে নানুর বরাবরই তপ্ত এলাকা বলে পরিচিত। বছরভর এখানে দুষ্কৃতী হামলা, বোমাবাজি, অস্ত্র মজুতের খবর মেলে। একুশের নির্বাচনের আগে তাই এসব এলাকায় বাড়তি নজর রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। ইতিমধ্যেই বীরভূম জেলার স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এসব ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না।