অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: ফের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। এবার পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি পঞ্চায়েত প্রধানের। রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, শনিবার অর্থাৎ কালীপুজোর রাতে আচমকাই তাসিকুল নামে ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু করে একদল। স্বাভাবিকভাবেই হতচকিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। প্রাণ বাঁচাতে তড়িঘড়ি লুকিয়ে পড়েন তাসিকুল ও পরিবারের বাকিরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর হয়ে ওঠে এলাকা। রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুলিশ আধিকারিকরা। সেখান থেকে উদ্ধার করে বেশ কয়েকটি সকেট। তবে সেগুলিতে কোনও রকম বোমার মশলা ছিল না বলেই দাবি পুলিশের।
[আরও পড়ুন: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আসানসোলে ভস্মীভূত অন্তত ১০টি বাড়ি ও দোকান, প্রাণ গেল একজনের]
কিন্তু কেন এই হামলা? পঞ্চায়েত সদস্য তাসিকুল ইসলামের কথায়, “সম্প্রতি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতি ও কাজের খতিয়ান নিয়ে বিডিও অফিসে তথ্য জানার আইনে আরটিআই করেছিলাম। তারপর থেকেই প্রধান আঙ্গুরা বিবি’র স্বামী আসাদুল ইসলাম নানাভাবে আমাকে হুমকি দিচ্ছিল। অভিযোগ তুলে নিতে বলছিল। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় শনিবার রাতে তার মদতপুষ্ট দুষ্কৃতিদেরাই আমার বাড়িতে বোমাবাজি করেছে।” যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রধানের স্বামী আসাদুল ইসলাম। তাঁর কথায়, “নানা কারণে ওই সদস্য পঞ্চায়েতে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। কোনও কাজ দিলে কাজ করে না। উনি নিজেই সুতলি বোমা ফাটিয়ে এই অভিযোগ করছে। সঠিক তদন্ত হলেই প্রমান হরে যাবে।” পঞ্চায়েত প্রধানের সুরে সুর মিলিয়ে তাসিকুল ইসলামও দাবি জানিয়েছেন পর্যাপ্ত তদন্তের। তাঁর কথায়, ” সঠিক তদন্ত হলেই বোঝা যাবে পঞ্চায়েতে কীভাবে পুকুর চুরি ঘটেছে। আর ওই ঘটনা নিয়ে যে প্রতিবাদ করছে তাঁকেই নানান কৌশলে পঞ্চায়েতের কাজ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় ওই সদস্যকে প্রাণে মারারও চেষ্টা করা হচ্ছে! যেমনটা আমাকে করা হচ্ছে।”