সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্ত্রোচ্চারণ করছেন পুরোহিত। শাস্ত্রমতে জাগতিক সব মায়া কাটিয়ে বৈতরণী পার হয়ে চলে যাচ্ছে আত্মা। সে উচ্চারণ করতে করতেই ঝরঝরিয়ে কেঁদে ফেললেন বনি কাপুর। কাঁধে হাত রাখলেন ভাই অনিল। স্পর্শ সান্ত্বনার। সব শোকের তো সান্ত্বনা হয় না। তবু জাগতিক বাস্তবতা মেনে নিতেই হয়। সেইমতোই শেষকৃত্যের পর হরিদ্বারেই শ্রীদেবীর অস্থিভস্ম বিসর্জন দিল পরিবার।
[ দেবের হাত ধরে বড় পর্দায় পদ্মশ্রী সুবাসিনী মিস্ত্রির সংগ্রাম ]
বলিউডের চাঁদনি যে অস্তমিত, আজও যেন বিশ্বাস করতে পারেন না তাঁর অনুগামীরা। পরিবারের কেউই হয়তো মেনে নিতে পারেননি এ মৃত্যুকে। তবু সময়ের নিয়ম মেনেই পালন করতে হয় শাস্ত্রীয় রীতি। সেইমতো হরিদ্বারে ভিভিআইপি ঘাটে পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মাদির পর অস্থিভস্ম বিসর্জন দিলেন অভিনেত্রীর স্বামী বনি। স্রোতস্বিনীর বুকেই চিরতরে বিলীন হয়ে গেলেন শ্রীদেবী। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পাশাপাশি ছিলেন দীর্ঘদিনের পারিবারিক বন্ধু রাজনীতিবিদ অমর সিং।
এর আগে রামেশ্বরমের ঘাটেও শ্রীদেবীর অস্থিভস্মের একাংশ বিসর্জন দেওয়া হয়। পারলৌকিক ক্রিয়াদিও করা হয়। বনির সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়েরাও। তাহলে আবার হরিদ্বারকে কেন বেছে নেওয়া হল? জানা যাচ্ছে, এই হরিদ্বারেই ফিরে আসার বাসনা ছিল প্রয়াত অভিনেত্রীর। ১৯৯৩ সালে শুটিংয়ের কারণে হরিদ্বারে যান শ্রীদেবী। তখনই পরিবারের কাছে জানিয়েছিলেন, সুযোগ পেলে আবার এখানে আসবেন। কিন্তু আর ফেরা হয়নি। দেশ থেকে বহু দূরে দুবাইয়ে এক হোটেলে বাথটবে চিরঘুমে তলিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী। দেহ ফেরাতে বিস্তর জটিলতা। বহু অশান্তি ভোগ করতে হয়েছে পরিবারকে। শেষযাত্রায় হাজার হাজার অনুগামী শুধু তাঁকে একবার চোখের দেখা দেখবেন বলে ভিড় জমিয়েছিলেন। এখন সেই উন্মাদনা কমেছে। শুধু পরিবারকে নিয়মমাফিক কাজ করে যেতে হচ্ছে। অভিনেত্রীর সেই ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়েই হরিদ্বারের গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয় তাঁর অস্থি। পুজো দেওয়া হয় মন্দিরেও।
[ শ্রীদেবীকে ভুলে গেল পরিবার? জাহ্নবীর জন্মদিন সেলিব্রেশনে নিন্দার ঝড় নেটদুনিয়ায় ]
The post ফিরতে চেয়েছিলেন হরিদ্বারে, গঙ্গায় শ্রীদেবীর অস্থিভস্ম বিসর্জন বনি কাপুরের appeared first on Sangbad Pratidin.