শিলাজিৎ সরকার: লিয়েন্ডার পেজ অবসর নেওয়ার পর আন্তর্জাতিক প্লেয়ার নেই বঙ্গ টেনিসে। কিন্তু তাই বলে যে এ রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি থাকেন না টেনিসের বিভিন্ন আসরে, এমন নয়।
এই যেমন ১ জুলাই থেকে অল ইংল্যান্ড টেনিস ক্লাবে শুরু হবে উইম্বলডন (Wimbledon 2024)। টেনিসের চার মেজরের মধ্যে সবচেয়ে ঐতিহ্যশালী এই আসরে এবার কোনও বাঙালি প্লেয়ার নেই। তবে থাকবেন চার নিখাদ বঙ্গসন্তান। শ্রীরামপুরের সৈকত রায়, সোমনাথ মান্না, শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বালির অভিষেক মুখোপাধ্যায়। চারজনই পেশাদার টেনিস অফিশিয়াল। কেউ কাজ করেন লাইন জাজ হিসাবে। কেউ আবার থাকেন হক আই সামলানোর দায়িত্বে। দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন গ্র্যান্ড স্ল্যাম সহ অন্যান্য টেনিস প্রতিযোগিতায় যোগ দিচ্ছেন এই চারজন। এবছরও উইম্বলডনে যাবেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: আইএসএলের সেরা স্ট্রাইকার ইস্টবেঙ্গলেই, ২ বছরের চুক্তিতে লাল-হলুদে দিমিত্রি]
এই যেমন উত্তরপাড়ার সৈকত দায়িত্ব সামলান লাইন জাজ হিসাবে। ২৫ বছর আগে ১৯৯৯ সালে পেশাদার অফিশিয়াল হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন। ২০১০ থেকে প্রতিবছর উইম্বলডনে যাচ্ছেন ম্যাচ অফিশিয়াল হয়ে। নিজের কাজ প্রসঙ্গে সৈকত বলছিলেন, “আমি ১১ বছর বয়সে টেনিস খেলা শুরু করি। যদিও আর্থিক চাপের মুখে একটা সময়ের পর খেলা চালাতে পারিনি। তখন থেকেই কোচ আর আম্পায়ার হিসাবে কাজ করতাম। পরে বিখ্যাত টেনিস আম্পায়ার জেরি আমস্ট্রংয়ের পরামর্শে পেশাদার হিসাবে কাজ শুরু করি। একটা সময়ের পর বড় বড় প্রতিযোগিতায় অফিশিয়াল হিসাবে ডাক পাওয়া শুরু হয়। আমি উইম্বলডনের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ইউএস ওপেনেও অংশ নিয়েছি। এছাড়া ম্যাচ খেলিয়েছি লন্ডন অলিম্পিকেও।”
এক যুগেরও বেশি সময় উইম্বলডনে খেলালেও এখনও সেন্টার কোর্ট সহ মূল কোর্টগুলিতে খেলানোর সুযোগ পাননি সৈকত। যা নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ আছে তঁার। বলছিলেন, “অন্য তিন মেজরের থেকে উইম্বলডন একটু আলাদা। এখানে অফিশিয়ালদের চারটি স্তরে ভাগ করা হয়। আমি এখন তৃতীয় স্তরে আছি। তাই গ্যালারি আছে এমন কোনও কোর্টে অফিশিয়াল হিসাবে যাওয়ার সুযোগ পাইনি। কারণ ওই চারটি কোর্টে শুধু প্রথম দু’টো স্তরের অফিশিয়ালরাই ম্যাচ করাতে পারে। তবে বিশ্বের অন্য কোনও মেজরে এমন কোনও নিয়ম নেই।” সৈকতের মতো সোমনাথও লাইন জাজ। অভিষেক ও শৈবাল সামলান হক-আই। চারজনই একটা সময় প্লেয়ার ছিলেন। অফিসিয়াল হিসাবে শুরুটাও প্রায় একসঙ্গে। ২০ জুন লন্ডনের পথে রওনা দেবেন তঁারা।