সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোরাচালানের সহজ রাস্তা হিসেবে তবে কী পাঞ্জাব সীমান্তকে বেছে নিচ্ছে পাক জঙ্গিরা! গত কয়েক মাসে বিপুল পরিমাণ মাদকের পাশাপাশি ১২৬টি ড্রোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে পাঞ্জাবের ভারত-পাক সীমান্ত থেকে। চোরাচালান রুখে দেওয়ার এমন পরিসংখ্যান তুলে ধরার পাশাপাশি বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, পাচারের চেষ্টার যুক্ত থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২১ জন পাক নাগরিককে।
বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, গত ৬ মাসে এখনও পর্যন্ত যত ড্রোন সীমান্ত থেকে উদ্ধার হয়েছে তা কার্যত রেকর্ড। এর আগে ২০২৩ সালে পাক সীমান্ত থেকে ১০৭ টি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, গত ৬ মাসে রেকর্ড পরিমাণ মাদকও উদ্ধার করা হয়েছে জানানো হয়েছে বিএসএফের তরফে। প্রায় ১৫০ কেজির মতো হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মাত্র ৬ মাসে। এই বিপুল পরিমাণ মাদকের বাজার মূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা। পাঞ্জাবের ভারত-পাক সীমান্তে এভাবে চোরাচালানের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: টার্গেট মুসলিম-দলিত ভোটব্যাঙ্ক, ২ অক্টোবর বিহারে যাত্রা শুরু পিকের রাজনৈতিক দলের]
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে সেনাবাহিনীর ব্যাপক কড়াকড়ির জেরে চোরাচালানের করিডর হিসেবে পাক সীমান্তবর্তী পাঞ্জাবকেই টার্গেট করা হচ্ছে। শুধু মাদক নয়, এই সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনাও ঘটেছে অতীতে। সাম্প্রতিক সময়ে এই অঞ্চল দিয়ে বেশ একাধিক জঙ্গি অনুপ্রবেশ করেছে বলে দাবি করেছিলেন গ্রামবাসীরা। সেই ঘটনার পর পাঞ্জাবের পাঠানকোটে হাই অ্যালার্টও জারি করে প্রশাসন। এই সব কিছুর মাঝেই এবার গত ৬ মাসে পাঞ্জাব সীমান্তের পরিসংখ্যান তুলে ধরল বিএসএফ।