সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর শেষে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজে অলরাউন্ডাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। যে কারণে, টিমের দুই অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন এবং মিচেল মার্শের থেকে বাড়তি দায়িত্ব নেওয়া প্রত্যাশা করছেন তিনি।
আগামী নভেম্বর থেকে ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলবে কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক চান, সেই সিরিজে টিমের প্রধান তিন পেসারের চাপ কমিয়ে দিন দলের দুই অলরাউন্ডার। ‘‘ভারত সিরিজে অলরাউন্ডারদের দায়িত্ব বিশাল হতে চলেছে। আমার এক এক সময় মনে হয়, টিমের অলরাউন্ডারদের ততটা ব্যবহার করার প্রয়োজন আমাদের হয়নি কখনও। যেটা একদিক থেকে দেখলে, বেশ ভালো ব্যাপার। গত কয়েকটা গ্রীষ্মে আমাদের অলরাউন্ডারদের উপর চাপ পড়নি সে ভাবে। হালকাই গিয়েছে মোটের উপর,’’ এক অনুষ্ঠানে সোমবার বলে দিয়েছেন কামিন্স। ‘‘কিন্তু আসন্ন গ্রীষ্ম আলাদা হবে বলেই আমার মনে হয়। ক্যাম (ক্যামেরন) গ্রিন আর মিচেল মার্শকে আমাদের আরও বেশি করে ব্যবহার করতে হবে। শেফিল্ড শিল্ডে যখন গ্রিন খেলে, তখন কিন্তু ও অনেক বেশি বোলিং করে। অথচ টেস্ট ম্যাচে বোলার গ্রিনকে খুব প্রয়োজন পড়ে না। খুব বেশি ওকে দিয়ে বোলিং করানো হয় না। কিন্তু এখন গ্রিন অনেক বেশি পরিণত হয়ে গিয়েছে। ওর থেকে আরও বেশি অবদান রাখবে, আমরা আশা করছি।’’
[আরও পড়ুন: গম্ভীরের শূন্যস্থানে জাহির খান! লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর হওয়ার দৌড়ে প্রাক্তন পেসার]
আজ পর্যন্ত ২৮-টা টেস্ট খেলে ৩৫-টা উইকেট নিয়েছেন গ্রিন। ৩৫.৩১ গড়ে। ‘‘সবার আগে বলব, গ্রিন কিংবা মার্শ যে কোনও দলের কাছেই বিরাট সম্পদ। কারণ, দু’জনেই ব্যাটিং লাইন আপের প্রথম ছয়ে সহজে জায়গা করে নেয়। তার উপর নাথন লায়ন প্রচুর ওভার বোলিং করে দেয়। যে কারণে, টেস্ট ক্রিকেটে অলরাউন্ডারের খুব প্রয়োজন আমাদের পড়ে না। কিন্তু টিমে পঞ্চম বোলিং বিকল্প থাকা সব সময় দরকার। আর গ্রিন বা মার্শ তো দেখতে গেলে ষষ্ঠ বোলিং বিকল্প। তাই বলছি, ওদের দু’জনকে পাওয়া আমাদের কাছে আশীর্বাদের মতো,’’ বলে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক।
ভারতের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজের জন্য তৈরি হচ্ছেন অস্ট্রেলীয় অফস্পিনার নাথন লায়নও। ২০১৪-’১৫-র পর আর বর্ডার-গাভাসকর সিরিজ আর জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। গত দু’বার অস্ট্রেলিয়া সিরিজে গিয়ে জিতে এসেছে ভারতই। যে অভিশাপ এবার কাটাতে চান লায়ন। বলেও দিয়েছেন, ‘‘দশ বছর ধরে একটা অসম্পূর্ণ কাজ আমাদের সামনে পড়ে আছে। আমরা বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি জিততে পারেনি। কিন্তু এবার আমরা ট্রফি ফিরে পেতে বদ্ধপরিকর।’’