অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: বৃষ্টিবাদলার মাঝে ফের জমা জলে বিপত্তি। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল এক কিশোরের। দমদম, হাওড়ার পর এবার ঘটনাস্থল হরিদেবপুরের চাঁদের বিল। তার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
হরিদেবপুর এই এলাকায় কেইআইআইপির কাজ চলছে। ফলে একটু বৃষ্টি হলে রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধে ৬টা নাগাদ টিউশন থেকে ফেরার পথে চাঁদার বিলের কাছে জমা জল পার হতে গিয়ে ল্যাম্পপোস্টে হাত লাগে ছেলেটির। সঙ্গে সঙ্গে ছিটকে জলে পড়ে যায়। অনেকক্ষণ জলে পড়ে থাকে। বিদ্যুস্পৃষ্ট হওয়ার ভয়ে জমা জলে কেউ নামতে চায়নি। পরে পুলিশ ও সিইএসসি এসে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বালকটিকে তুলে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা মৃত বলে জানায়।
[আরও পড়ুন: জিন্দাল গোষ্ঠীর নাম ভাঁড়িয়ে প্রতারণা, কোটি টাকার স্টিল রড-সহ মালদহে গ্রেপ্তার ব্যবসায়ী]
খবর পেয়ে পুরসভার আলোক দপ্তরের কর্মীরাও ঘটনাস্থলে যান। যদিও স্থানীয় কাউন্সিলর রত্না শূর বলেন, “বিএসএনএলের একটি পুরনো খুঁটি রয়েছে। কেউ হয়তো ওই খুঁটির গা দিয়ে তার নিয়ে গিয়েছিল। এদিন বৃষ্টিতে রাস্তায় জল জমে থাকায় খুঁটিটি তড়িৎবাহি হয়ে যায়। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ছেলেটির হাত ওই তড়িৎবাহি খুঁটিতে লেগে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। তাঁর দাবি, যে সময় ঘটনাটি ঘটেছে তখন পুরসভার ল্যাম্পপোস্টে আলো বন্ধ ছিল। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল পুলিশ তদন্ত করছে।”
এদিকে এই ঘটনার পর বিএসএনএলের অচল খুঁটিগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে পুরসভা। মেয়র পারিষদ (আলোক) সন্দীপরঞ্জন বক্সির বক্তব্য, মর্মান্তিক ঘটনাটি যে সময় ঘটে সেই সময় পুরসভার ল্যাম্পপোস্টে আলো জ্বালানো হয়নি। বিএসএনএলের খুঁটিতে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় বালকটি। তিনি আরও জানান, বিএসএনএলের এরকম অনেক খুঁটি রয়েছে যেগুলি আর ব্যবহার হয় না। এখন বর্ষার মরশুম। শহরে জল জমবে। এইসব খুঁটি থাকা বিপজ্জনক। এই খুঁটিগুলি সরিয়ে ফেলত বিএসএনএল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। সোমবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে বৈঠকে বসছে আলোক দপ্তর।