সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন বন্ধুর মধ্যে ঝামেলা। আর তার জেরেই ‘কম্পাস’ দিয়ে খুন করা হল ১৪ বছরের এক নাবালককে। নাম মনজিৎ। অভিযুক্ত তারই দুই বন্ধু। সোমবার বিকেলে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির চাওলায় ঘটনাটি ঘটেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে একটি মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার জন্যই মনজিতের সঙ্গে বচসায় জড়ায় তার দুই বন্ধু। শেষপর্যন্ত যা কেড়ে নিল একটি প্রাণ।
[‘ওরা বাবাকে মেরেছে, ওদের ৫০ জনের মাথা কাটা হোক’]
এদিন বিকেল ৪ টে নাগাদ একটি নর্দমার ধার থেকে বালকের চিৎকার শুনতে পান স্থানীয় মানুষজন। তাঁরা দেখেন স্কুলের পোশাক পরা দুই বালক মিলে একজনকে কম্পাস দিয়ে আঘাত করছে। লোকজন তাদের দেখে ফেলেছে ভেবে এরপরেই ওই জায়গা থেকে পালিয়ে যায় দুই বালক। এরপরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তাঁরা এসে ড্রেনের ধার থেকে উদ্ধার করে আহত মনজিৎকে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যায় সে।
[ফের দাম বাড়ল রান্নার গ্যাস ও কেরোসিনের]
পুলিশ জানিয়েছে, একাদশ শ্রেণির ছাত্র মনজিৎ বিকাশপুরি সরকারি স্কুলে পড়ত। এদিন বন্ধুদের সঙ্গে ঝামেলা মেটাতেই চাওলা এসেছিল সে। কিন্তু ঝামেলা না কমে আরও বেড়ে যায়। আর তারপরেই শুরু হয় মারামারি। এরপরেই অভিযুক্ত দু’জনের মধ্যে একজন কম্পাস দিয়ে মারতে থাকে মনজিৎকে। আর তাতেই গুরুতর আহত হয় সে। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় তিনজনেই স্কুলের পোশাক পরেছিল।
[‘পাকিস্তান জঙ্গি রাষ্ট্র, ওই দেশের সেনাও বর্বর-ক্রিমিনাল’]
দিল্লি পুলিশের ডিসিপি(দক্ষিণ-পূর্ব) সুরিন্দর কুমার বলেন, ‘আমরা খুনের মামলা দায়ের করেছি। যারা মনজিৎকে ওই স্থানে নিয়ে গিয়েছিল তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’ এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দেহের দুই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে আঘাত লাগায় মারা গিয়েছে মনজিৎ। আপাতত মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার পরিবারের হাতে সেটি তুলে দেওয়া হবে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মনজিতের স্কুলের বন্ধুদেরও। মৃত মনজিতের পরিবারের লোকজন জানিয়েছে, আগেও তিনজনের মধ্যে বচসা হয়েছিল। তারপর থেকে আর ওদের সঙ্গে বেরোত না মনজিৎ। একটি মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা নিয়ে নিজের বন্ধুদের হাতেই যে খুন হতে হবে মনজিৎকে, সেটা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই কিশোরও একই এলাকায় থাকে।
[জওয়ানের মুণ্ডচ্ছেদের বদলা, ৩ পাক সেনা ছাউনি উড়িয়ে দিল ভারত]
The post বচসার জেরে এক বন্ধুকে কম্পাস দিয়ে খুন করল দুই নাবালক appeared first on Sangbad Pratidin.