সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হঠাৎই জ্বর এসেছিল। বাড়ছিল বমি। এমনকী ভুল বকতেও শুরু করেছিল কেরলের এক কিশোর। বেগতিক দেখে হাসপাতালে ভর্তিও করেন পরিবারের সদস্যরা। তবুও বাঁচানো যায়নি ১৪ বছরের ছেলেটিকে। জানা গিয়েছে, তাঁর মস্তিষ্ক কুড়ে কুড়ে খেয়েছে অ্যামিবা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অ্যামিবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিস (Amoebic meningoencephalitis) নামের এক অসুখে আক্রান্ত হয়ে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। কী থেকে হয় এমন রোগ? নামেই প্রকাশ অ্যামিবাঘটিত রোগ এটি। এক ধরনের অ্যামিবা যা জলে থাকে। নাকের মাধ্যমে তা দেহে প্রবেশ করে। আঘাত করে সরাসরি মস্তিষ্কে। সেখানেই দ্রুত বংশবিস্তার করে। তাদের খাদ্য হয়ে ওঠে মস্তিষ্কের বিভিন্ন টিস্যু। তবে এই রোগ মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। অর্থাৎ সংক্রামক নয়। কিন্তু এই অসুখের সবচেয়ে খারাপ দিক হল এর কোনও সঠিক চিকিৎসা এখনও নেই বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি, যাবেন অস্ট্রিয়া সফরেও]
কিশোরের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃদুল নামের ছেলেটি পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল। চিকিৎসকদের অনুমান, সেখান থেকেই এই প্রাণনাশী এককোষী প্রাণী তার দেহে প্রবেশ করে। সেই থেকে মস্তিষ্কে বংশবিস্তার। অবশেষে মৃত্যু। প্রসঙ্গত, তিন মাসে কেরলে এমন অসুখ প্রাণ কাড়ল তিনজনের।
এই রোগে আক্রান্ত হলে কী কী উপসর্গ দেখা যায়? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন প্রথমে হালকা জ্বর, বমি, মাথাব্যথা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভুল বকা, পাগলামো শুরু করেন রোগী। মারণ অ্যামিবা দেহে প্রবেশ করার ১-১২ দিনের দিনের মধ্যে এই উপসর্গগুলি দেখা যায়। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১০ লক্ষের মধ্যে ২.৬ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত।